বগুড়ায় মেয়ে সন্তান হওয়ায় পুকুরে ফেলে হত্যা করলেন বাবা
বগুড়ার শেরপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ১৪ মাস বয়সী ফুটফুটে ঘুমন্ত কন্যাশিশুটিকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেছে বাবা।
মঙ্গলবার ভোররাতে বাবা জাকির হোসেনের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে জাকিরকে আটক করা হয়। তিনি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সাত বছর আগে জাকিরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের নামা সিংড়াপাড়া গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়। এক বছরের মাথায় একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। এরপর বাবা জাকিরের প্রত্যাশা ছিল ছেলে সন্তানের। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় সামান্য বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। এ কারণে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাতের কোনো এক সময় ঘুমন্ত শিশুটিকে পুুকুরে ফেলে দেন বাবা।
নিহত শিশুর মা রাবেয়া খাতুন বলেন, মধ্যরাতে ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার মেয়ে হুমায়রা খাটের ওপর নেই। পরে পরিবারের সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানাই। সেইসঙ্গে আমার বোন-দুলাভাইকে খবর দেই। এরপর সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার স্বামীকে চাপ দেন তারা। পরে তিনি পুকুরে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হয়েছে। এছাড়া ঘুমন্ত শিশুটিকে পুকুরে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করায় বাবা জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসএ