নিউজিল্যান্ডকে ১৩৮ লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কঙ্কালসার ব্যাটিংয়ের দেখা মিললো আরও একবার বাংলাদেশের। ব্যাটসমস্যানদের দূর্বল শট, একের পর এক ডট বল সবকিছুরই দেখা মিললো ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
বড় মাঠের পুরোপুরি সুবিধাটাই আদায় করে নিয়েছে কিউই বোলাররা। যেখানে পুরো ইনিংসজুড়েই চোখে পড়েছে টাইগার ব্যাটারদের অসহায়ত্ব। শট খেলে বাউন্ডারি পার করতে না পারার দূর্বলতা।
নুরুল হাসান সোহানের শেষমুহুর্তের ১২ বলের ২৫ রানের ইনিংসের দেখা না মিললে হয়তো ১৩০-ও পার করতে পারতো না সাকিব আল হাসানের দল। সেখানে সোহানের ছোট্ট ওই এক ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ২০ ওভার শেষে ১৩৭ রান জমা করেছে বাংলাদেশ দল। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ১৩৮ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর বাংলাদেশের শুরুটা আহামরি হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই মিরাজ সাজঘরে ফিরেছেন। তার পর লিটন-শান্ত মিলে দারুণ জুটিতে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করলেও বেশি লম্বা হয়নি তাদের ইনিংস। তাদের বিদায়ে ছন্দ পতন ঘটে ইনিংসের। মিরাজ ফিরে গেলে একপ্রান্ত আগলে কিছুটা আগ্রাসী ভঙ্গিতেই শান্ত খেলেছেন। সাব্বিরের বদলে নেমে চেষ্টা করছিলেন। লিটনের সঙ্গে গড়েন ভালো জুটি। লিটনের বিদায়ে জুটি ভাঙতেই পরের ওভারে তিনিও ফিরে গেছেন। সোধিকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে তালুবন্দি হয়েছেন ৩৩ রানে। তার ২৯ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার।
মোসাদ্দেক ফেরার পর ইয়াসির-আফিফ মিলে কিছু রান যোগ করতে পেরেছিলেন স্কোরবোর্ডে। কিন্তু খেই হারানো ইনিংসটা আর দিশা ফিরে পেলে তো? ইয়াসির ৯ বলে ৭ রান করে বিপদই বাড়িয়ে গেছেন। ব্রেসওয়েলের বলে মিলনেকে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। লিটন-শান্ত ফিরতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের। সোধির ১১তম ওভারে আফিফের ক্যাচ ফেলে দেন মিলনে। তার পরের বলে অবশ্য ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মোসাদ্দেক। ৪ বলে মাত্র দুই রান করা মোসাদ্দেক ক্যাচ তুলে দেন শর্ট মিডউইকেটে।
এরপর খেই হারানো ইনিংসে আফিফ হোসেনও বেশি কিছু করতে পারেননি। দলের স্কোর একশো ছাড়াতেই তাকে থামান ট্রেন্ট বোল্ট। একবার জীবন পেয়ে আফিফ ২৬ বলে ২৪ রান করতে পেরেছেন। তাকে ফুলার লেংথের বলে বোল্ড করেন বোল্ট।