শাহজাহান হত্যা: চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় শাহজাহান আলীকে হত্যার ঘটনায় বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ ১৯ বছর এ হত্যার রায় ঘোষণা করা হয়।
সোমবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাবাসে দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধা, বিপ্লব মিয়া, রাসেল মিয়া, জুয়েল প্রাং, সবুজ আকন্দ, উজ্জ্বল আকন্দ, আঃ মান্নান, পিলু খন্দকার, মোখলেছার রহমান মুকুল, আঃ হামিদ খোকা আকন্দ এবং জাহেদুর রহমান। দণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় তাদের মধ্যে বিপ্লব, রাসেল ও জুয়েল পলাতক থাকা ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পিপি) নাসিমুল করিম হলি জানান, মামলায় ওই ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। ১১ আসামির মধ্যে ৮ জন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রায়ে পলাতক ৩ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৩ সালে শেখেরকোলা ইউপি নির্বাচনে বিএনপি নেতা রশিদ মৃধা হরিণ প্রতীকে এবং আব্দুস সাত্তার খা চেয়ার প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রশিদ মৃধা নির্বাচিত হন। তিনি পরের দিন মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন এলাকায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে তারা দক্ষিণভাগ গ্রামে পৌঁছলে ওই এলাকার প্রয়াত তমিজ উদ্দিনের ছেলে শাজাহান আলী এবং একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানকে রাস্তায় দেখে তাঁর (রশিদ মৃধা) ভোট না করায় গালাগাল শুরু করেন। তারা এর প্রতিবাদ করলে রশিদ চেয়ারম্যান ও অন্য আসামিরা তাদের ওপরে হামলা চালায়। তাদের বেদম মারপিটে শাজাহান ও মান্নান গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৩ ফেব্রুয়ারি অবস্থায় শাজাহান আলী মারা যান।
পরে ওইদিনই রশিদ মৃধাকে প্রধান আসামিকে ১১জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই মাহমুদূর রহমান।
এসএ