গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: ৪০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে ৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলাম।
নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
গোপন কক্ষে একাধিক লোক প্রবেশ করায় ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয়, রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাঘাটার দহিচড়াসহ ৪০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত কর হয়।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে এই আসনে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের মাঠে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৫টি সাদা পোশাকের স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে রয়েছেন। তাছাড়া ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে আছেন। এছাড়া ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকছে ভোটকেন্দ্রগুলো।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
এ উপনির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।
দুই উপজেলার উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী হলেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কাসহ নানা অভিযোগ জাতীয় পার্টিসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এর দুই দিন পর তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।