বাংলাদেশের আরেকটি হার
রিজওয়ানকে ফিরিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত সে উত্তেজনা বজায় থাকেনি। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে সাইফউদ্দিনকে চার মেরে এক বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। বিশ্বকাপের আগে তাই জয় দিয়ে কোনো মোমেন্টাম পেল না বাংলাদেশ।শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করে হারটাই সেরা মোমেন্টাম হয়ে থাকল তাদের জন্য।
নিজের প্রথম তিন ওভারে ৪২ রান দেওয়ার পরও সাইফউদ্দিনের ওপর থেকে আস্থা হারাননি সাকিব। শেষ ওভারে ৮ রানের সমীকরণে তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছেন। তাঁর প্রথম ৩ বল থেকে ৫ রান তুলেছেন নওয়াজ ও আসিফ। পরের বলেও এসেছে ২ রান। শেষ ২ বলে ১ রানের সমীকরণে থাকতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মারলে পাকিস্তান পায় ৭ উইকেটের জয়।
১ ছক্কা ও ৫ চারে ২০ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দারুণ ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেললেন নওয়াজ। ২ বলে ২ রানে অন্য প্রান্তে অপরাজিত আসিফ আলী।
প্রায় সব বোলারই মোটামুটি কম–বেশি মার খাওয়ায় ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে সৌম্য সরকারকে আনেন সাকিব।ফিল্ডারদের ভুলে তাঁর প্রথম দুই বলে ৪ রান নেন রিজওয়ান ও নওয়াজ। তবে পরের দুই বলে কোনো রান দেননি সৌম্য। কিন্তু পঞ্চম বলটি ওয়াইড এবং চমকটা পরের বলেই রিজওয়ান আউট!
সৌম্যকে মারতে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দেন রিজওয়ান। ৫৫ বলে ৬৯ রানে ফেরা রিজওয়ানই হয়েছে ম্যাচ সেরা।
এই হারের মধ্য দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ কোনো জয় ছাড়াই শেষ করল বাংলাদেশ। ৪ ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে জয় তুলে নিয়ে কাল ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আত্মবিশ্বাস তুলে নিল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের হয়ে অধিনায়ক বাবর আজম ৪০ বলে ৫৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ দুটি ও সৌম্য একটি উইকেট শিকার করেছেন।