বগুড়ায় স্ত্রী হত্যা: স্বামীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় দেন।
এ ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার শেরপুর উপজেলার পালসন গ্রামের মৃত আরিফ উল্ল্যাহ ফকিরের ছেলে জিল্লুর রহমান, মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে গোলাপ হোসেন ও খারতাপাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ মন্ডল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও এপিপি নাছিমুল করিম হলি জানান, দীর্ঘদীন পর একজন গৃহবধূ ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট৷
জানা যায়, ১৯৯৪ সালে বাবার অমতে নিহত চায়নাকে বিয়ে করেছিলেন গোলাপ। সম্পর্কের বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের এক বছর পর বিচ্ছেদও হয়। কিন্তু তালাক হলেও চায়না ও গোলাপের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে গোলাপের সঙ্গে তার পরিবার চাপ সৃষ্টি এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল। ফলে গোলাপ চায়নার সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে বিচ্ছিন্ন করতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ রাতে উপজেলার পালশান গ্রামে চায়নাকে ডেকে নিয়ে আসে গোলাপ। এ সময় গোলাপকে সহযোগীতা করার জন্য জিল্লুর ও ফরহাদ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে গল্প করার সুযোগে চায়নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন তারা।
এ ঘটনায় চায়নার ভাই হাফিজার রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
এসএ