বগুড়ায় দুই ইউপি সদস্যের দ্বন্দে এক যুবক নিহত

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরণা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের নারী ও ৪ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্যদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মারপিট ও ছুরিকাঘাতে মো. শাকিব (১৮) নামে এক যুবক মারা গেছেন।
নিহত মো. শাকিব উপজেলার খরনা ইউনিয়নের বড়তিতখুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
বুধবার সকাল ১০টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে ৩০ অক্টোবর রোববার শাজাহানপুরের বীরগ্রাম এলাকায় তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। ওই দিন থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
৩১ অক্টোবর শাকিবের মা আছমা খাতুন বাদী হয়ে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের সদস্য জিয়াউর রহমান ও সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চারজনকে অভিযুক্ত করে মারধর ও ছুরিকাঘাতের মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, উপজেলার খরণা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসন ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য সেলিনা আকতার মুন্নি বীরগ্রাম দক্ষিণপাড়া গ্রামে রাস্তায় সিসি ঢালাই কাজের জন্য সরকারি বরাদ্দ পান। ওই কাজ নিয়ে নারী সদস্যের সঙ্গে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ২৪ অক্টোবর প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। কাজ শেষে বেশ কিছু বালু বেচে যাওয়ায় তা রাস্তার পাশে পড়েছিল। কিন্তু দ্বন্দের জের ধরে ওইদিন রাতে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের নির্দেশে তার সহযোগী নয়নসহ (২৭) বেশ কয়েকজন এসে বালুগুলি চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে ওই নারী সদস্যের ছেলে মিনহাজ (২৮) ও তার বন্ধু রাজমিস্ত্রি মো. শাকিবের সঙ্গে পুরুষ সদস্য জিয়াউর রহমান ও তার সহযোগী নয়নের তর্কবিতর্ক হয়। এ ঘটনার জের ছুরিকাহতের ঘটনা ঘটে।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নারী ও পুরুষ সদস্যদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে বালু নিয়ে যাওয়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় মারপিট আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। মারা যাওয়ায় এখন তা হত্যা মামলায় পরিণত হবে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসএ