মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সাময়িক বরখাস্ত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না তা জানাতে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
৬ নভেম্বর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে এ বিষয়টি জানা গেছে।
ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বগুড়া সদর থানার প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলা এবং অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮০-এর ১১ ধারায় গত ২৪ আগস্ট সাজা বহাল রাখা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইন ২০০৯-এর ৩১(১) ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া একই আইনে ৩২ (২)(খ) ধারা মোতাবেক নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হওয়া এবং ধারা ৩২(১)(ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ কারণে কেন তাকে মেয়রের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে না তা ৩২(৩) ধারা অনুযায়ী পত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বগুড়ার আদালত সূত্র জানায়, পাবলিক পরীক্ষা আইনের মামলায় ছয় মাসের সাজা বহাল হওয়ায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা শায়লা বেগমের আদালত ১১ অক্টোবর জাহাঙ্গীরকে জেল হাজতে পাঠান। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।
জাহাঙ্গীর আলম ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে গত ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি দুপচাঁচিয়া পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন। এর আগে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা তার হলফনামায় এ মামলাটিতে খালাস দেখান তিনি। এ ছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে হাইকোর্টের আদেশ তৈরি করে দুর্নীতির মামলা ১০ বছর স্থগিত করে রাখার অভিযোগে জাহাঙ্গীরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে রিট শাখার সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল মোমেন গত ১৪ অক্টোবর বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন। এ ব্যাপারে ৭ নভেম্বর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।