খেলাধুলাপ্রধান খবরফুটবল

স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো মেসির আর্জেন্টিনা

খেলা তখন গড়িয়েছিল ৬৩ মিনিটে। স্কোর লাইন তখনও গোল শূন্য। গোল বার থেকে লিওনেল মেসি ২৫ গজ দূরে। সেখানে দেখা মাত্রই তার দিকে বল ঠেলে দিলেন ডি মারিয়া। বল পাওয়া মাত্রই ঠেলে দিলেন। আহামরি কিছু না, ছিল না মেসির নান্দনিক বৈচিত্রতাও। খুব সাধারণ শটে পরাস্ত হলেন মেক্সিকান গোলরক্ষক গুলিয়েরমো ওচোয়া। বল জালে জড়াতেই উল্লাসে মেতে উঠলেন মেসি। তাতেই এগিয়ে যায় তার দল। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা।

এমন ক্ষ্যাপাটে উচ্ছাসে তাকে সাধারণত দেখা যায় না। দর্শক সারির দিকে তাকিয়ে ‘ভামোস-ভামোস’ বলে চেচালেন। ঠোঁট মেলালেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরাও। কাতারের স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ মেসি বাঁধভাঙা উল্লাসেই যেন জবাব দিলেন সমালোচকদের। যারা সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের গেল গেল বলে রব তুলেছিলেন।

গোল করে তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আর এই গোলটিই হয়ে গেল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। কারণ তার গোলেই যেন ম্যাচে প্রাণ ফিরে। ঝিমিয়ে পড়া আর্জেন্টাইনরাও গা ঝাড়া দিয়ে উঠেন। যার প্রমাণ ৮৭ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের গোল।

মেসির গোলটি খুব সাধারণ হলেও ফার্নান্দেজের গোলটি ছিল চোখ ধাঁধানো। সে গোলের সুযোগটি অবশ্য মেসিই করে দিয়েছিলেন। শর্ট কর্নার থেকে দুজন মেক্সিকানকে কাটিয়ে বল সোজা জালে জড়ালেন তিনি। ছুঁতেও পারলেন না ওচোয়া।

ফার্নান্দেজের এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আর্জেন্টিনার। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পর শূন্য হাতে মাঠ ছাড়েন। তবে আজ তিন পয়েন্ট নিয়ে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ফিরবেন। যে জয় তাদের পয়েন্ট টেবিলের তলানী থেকে তুলে নিয়েছে ২ নম্বরে। আরবদের সঙ্গে ২-০ গোলে জয় পাওয়া পোল্যান্ড আছে তালিকার শীর্ষে। শেষ ম্যাচে মেসিরা জিতলেই নিশ্চিত হবে সেমিফাইনাল।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button