দিবসপ্রধান খবর

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস আজ

আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী শারীরিকভাবে অসম্পূর্ন মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগীতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে দিবসটি পালিত হয়। ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পরিবর্তনমুখী পদক্ষেপ: প্রবেশগম্য ও সমতাভিত্তিক বিশ্ব বিনির্মাণে উদ্ভাবনের ভূমিকা’- এটাই এবারের প্রতিপাদ্য। 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা পৃথক পৃথক বানী দিয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে, বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের সাথে জাতীয় উন্নয়নের যোগসূত্র আছে। প্রতিবন্ধীরা জাতীয় উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতায় প্রভূত অবদান রাখতে পারবে, যদি তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হয়। 

অধিকারকর্মীদের মতে, দেশে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবন্ধী দিবস পালন করা হলেও এর তাৎপর্য আমরা ঠিকভাবে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছি। প্রায় এক যুগ হতে চলল- বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার সনদে অনুস্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাগ্যের তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। বিশেষ করে যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা গ্রহণের হার আগের চেয়ে বাড়লেও চাকরির বাজারে অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী টিকে থাকতে পারছে না। 

উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালের মার্চ মাসে বেলজিয়ামে এক ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা যান। আহত পাঁচ সহস্রাধিক ব্যক্তি চিরজীবনের মতো প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাদের প্রতি সহমর্মিতায় ও সহযোগিতায় বেশ কিছু সামাজিক সংস্থা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসে। এর ঠিক পরের বছর জুরিখে বিশ্বের বহু সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্তর্দেশীয় স্তরে এক বিশাল সম্মেলন করেন। সেখান থেকেই প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্যের হদিশ মেলে। সেখানে সর্বসম্মতভাবে প্রতিবন্ধী কল্যাণে বেশকিছু প্রস্তাব ও কর্মসূচি গৃহীত হয়। খনি দুর্ঘটনায় আহত বিপন্ন প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালন করতে আহ্বান জানানো হয়। সেই থেকেই ১৯৯২ সাল থেকে এই দিবস পালন করা হচ্ছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button