খেলাধুলাপ্রধান খবরফুটবল

ইংল্যান্ডের স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স

পেনালটি থেকে গোল করে সমতা এনেছিলেন হ্যারি কেইন। শেষ মুহূর্তে ফের পেনালটি মিসেই হাত থেকে ফসকে গেছে ম্যাচ। তাতেই কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় ফ্রান্সের। অন্যদিকে চোখের জলেই বিদায় নিতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে।

দীর্ঘ ৫৬ বছর ধরে বিশ্বকাপ জেতা হয় না ইংলিশদের। খরায় ভুগছে অন্যান্য আন্তর্জাতিক শিরোপার। কাতারে সেসব ঘোচানোর লক্ষ্যেই যাত্রা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে এসে ধরাশায়ী হলো তারা। ইংলিশদের ২-১ গোলে হারিয়ে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ফরাসিরা।

কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে দুই দল। চলতে থাকে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। খেলার ১১ মিনিটে জিরুর শট সরাসরি পিকফোর্ডের দিকে ধেয়ে যায়। তবে বাঁচিয়ে নেন পিকফোর্ড। তবে ১৭ মিনিটে আর বাঁচাতে পারেননি। ফ্রান্সের কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে গোলটি করেন! এমবাপ্পে রাইসকে কাটিয়ে ডানদিকে গ্রিজম্যানকে পাস বাড়ান। বলটি গ্রিজম্যান দেন শুয়োমেনিকে। গোল করতে কোনো ভুল করেননি শুয়োমেনি।

এ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। তবে বিরতির পর ম্যাচের ৫২তম মিনিটে বক্সের মধ্যে বেলিংহামকে ফাউল করেন চুয়ামেনি। আর তাতেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। অধিনায়ক হ্যারি কেইন স্পট কিক নিতে কোনো ভুল করেননি।

সমতায় ফেরার পর দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে মরিয়া হয়ে উভয় দল। ৭৮ মিনিটে গ্রিজম্যানের কর্নার থেকেই গোলের মুভ। গ্রিজম্যানের ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে ধাক্কা খেয়ে তার কাছেই ফেরে। তার ক্রস থেকে হেডে গোল অলিভিয়ের জিরুর। তাতে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।

দ্বিতীয় গোল হজমের পর আক্রমণের ধার বাড়ায় ইংলিশরা। গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে তারা। ম্যাচের ৮২ মিনিটে তারা সেই সুযোগ পেয়েও যায়। একটি লম্বা উঁচু শট লক্ষ্য করে গোলের ভিতর ঢুকছিলেন মাউন্ট। তাঁকে ডি-বক্সের ভিতর ফাউল করে বসেন থিও হার্নান্ডেজ। প্রথমে রেফারি দেননি পেনাল্টি। পরে ইংল্যান্ডের দাবিতে ভিএআরের সাহায্য নেন। ভার চেক করে পেনাল্টি দেন ইংল্যান্ডকে। সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ ইংল্যান্ডের কাছে।

কিন্তু হ্যারি কেন পেনাল্টি শট নিতে এসে মিস করে বসেন। নার্ভ ধরে রাখতে পারেননি। শটটি বাইরে মারেন। পেনাল্টি মিস করার ফলে ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচটাই বের হয়ে যায়। ৫ দশকের শিরোপা খরা ঘোচাতে এসে ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রান্স প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে মরক্কোকে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button