জাতীয়

“থার্টি ফার্স্ট নাইটে বার বন্ধ থাকবে’

মাদকের অপব্যবহার রোধে আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা বার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ‘বড়দিন’ এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের আইনশৃঙ্খলা ও আনুষঙ্গিক বিষয় সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, যেকোনো নাশকতা রোধে সারা দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উৎযাপনে গির্জা ও ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার ব্যবস্থা থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার তেজগাঁও ও রমনাসহ পাঁচ হাজার ৬৮২টি গির্জায় বড়দিন পালন হতে পারে। সবগুলো গির্জার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। বড় গির্জাগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিষ্টান সম্প্রদায় থেকে স্বেচ্ছাসেবী রাখার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বেশির ভাগ কূটনীতিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী— বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। গির্জাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ গির্জাগুলোতে সুইপিং করা হবে, ভিআইপিদের চলাচলের সময় যেটা করা হয়। ডগ স্কোয়াডও থাকবে।

২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা পার্শ্ববর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দারাও থাকবেন বলেও জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২৫ ডিসেম্বরের পর থার্টি ফার্স্ট নাইট। এদিন আতশবাজি, ভুভুজেলা, পটকা না ফোটাতে আমরা অনুরোধ রাখছি। এগুলো ফুটিয়ে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফ্লাইওভার ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচ-গানের আয়োজন করা যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি যাতে ঢুকতে না পারেন, সেজন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেখানে প্রবেশ সীমিত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

মাঠে কনসার্ট করা যাবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহানগর পুলিশের অনুমতি নিয়ে কনসার্ট করা যাবে। কোনো রাস্তায় যানজট করা যাবে না। কেউ যাতে অবৈধভাবে মাদকের কারবার করতে না পারেন সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শহরে র‍্যাবের টহল থাকবে। খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে র‍্যাবের টহল জোরদার করা হবে। এছাড়া কোনো অঘটন ঘটলে ৯৯৯-এ ফোন দেওয়া যাবে। সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এসব উৎসব উপলক্ষে কোনো হুমকি আছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এমন কিছু নেই। আমরা মনে করছি, জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আগেই তা চিহ্নিত করেছি। তারপরও আমরা সবাই সজাগ থাকব যাতে কোনো অঘটন না ঘটে।”

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button