গাইবান্ধা- ৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
নাহিদুজ্জামান নিশাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ‘ সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ, নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেটা ১২ অক্টোবরে করতে পারে নি। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে উপহাস করেছে কমিশন। বিশেষ এক প্রার্থীর কর্মী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জোড়-জবরদস্তি, হুমকি-ধামকি ও মারপিট করেছে। সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিজেরাই ভোট দিয়েছে। আমার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের উপর আক্রমনসহ নানা অপকর্মের স্বাক্ষী হয়েছে সাঘাটা-ফুলছড়িবাসী। চিহ্নিত ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। সুতরাং কমিশন ফের ভোটের তফশিল ঘোষণা করে আবার প্রহসন করতে চাচ্ছে। আমি আমার জামানতের টাকা ফেরত পাওয়ারও দাবি করছি’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাঘাটার জুমাড়বাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুস্তম আলী আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম মুকুল, পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদিনসহ প্রমুখ।
গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আসনটিতে ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে প্রথমে গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ভরতখালি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং সাঘাটা উপজেলার রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
পরবর্তীতে দফায় দফায় ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে ইসি।
তদন্তে ১২৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচটি কেন্দ্রের পাঁচজন পুলিশ উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তদন্ত শেষে ৬ নভেম্বর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে তারিখ ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।