ভোটগ্রহণ চলছে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা এ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার জানান, ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৪৩ কেন্দ্রের প্রতিটিতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও নির্বাচন কমিশন থেকে সিসি ক্যামেরার ভোট সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা জানান, ১২ অক্টোবরের মতো অনিয়ম পেলে ফের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছে ১৭ থেকে ১৮ জনের ফোর্স। ভোটকেন্দ্র পাহারায় পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ ও চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের মাঠে থাকবেন। অন্যদিকে চার প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের নয়টি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন।
নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি দু’টি উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ফুলছড়ির সাতটি ইউনিয়নে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন এবং সাঘাটার ১০টি ইউনিয়নে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন।
গত ১২ অক্টোবর এ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় ইসি। পরবর্তীতে ৪ জানুয়ারি ভোটের নতুন তারিখ দেয় সংস্থাটি। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।