কুয়াশা থাকবে আরও কয়েকদিন

সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডায় খুব একটা ভালো নেই দেশের বেশিরভাগ মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে দেশের সড়ক-মহাসড়কে সকালেও হেডলাইন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কিছু কিছু স্থানে কুয়াশা এত ঘন হয়ে জমে যে ২০ হাত দূরের জিনিসও দেখা যায় না।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হিমশীতল বাতাসে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা মিলছে। হাড় কাঁপানো শীতের কষ্ট থেকে বাঁচার জন্য গরীব মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে একটু উষ্ণতার পরশ নিচ্ছেন।
বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে কেবল শ্রীমঙ্গল আর ঈশ্বরদীতে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল শ্রীমঙ্গলে। আর ঈশ্বরদীতে ছিল ১০ ডিগ্রি। অনুভূত হচ্ছে বেজায় শীত।
আবহাওয়া অফিস জানায়, কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে তখন সেই অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়। তাপমাত্রা আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬-৮ ডিগ্রিতে থাকলে তাকে মাঝারি এবং ৬-এর নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। সিলেটে তাপমাত্রা মাত্র শূন্য দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলেই চলতি শীতে প্রথমবারের মতো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
বিএমডি বুধবার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বিশেষ করে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।