সিসিটিভি ক্যামেরা খুব এক্সপেনসিভ: রাশেদা সুলাতানা

বিএনপি সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া ৬টি আসনের উপনির্বাচনে ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ায় দুটি আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কমিশনার রাশেদা সুলাতানা বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা খুব এক্সপেনসিভ (ব্যয়বহুল)। ছয়টি আসনে উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা দিয়ে করার বাজেট আমাদের নেই।’
বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে দু’টি আসনে উপ-নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।পরে তিনি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ওই দুটি সভায় রাশেদা সুলতানা কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সিসিটিভি আইনে ম্যান্ডেটরি (আবশ্যক) না। এই সিসি ক্যামেরা দিয়ে সব ইলেকশন করব, করতেই হবে-সেটা না। সাধারণ যে আইন, যে প্রসিডিউর সেটার মধ্যে আমাদেরকে আসতে হবে। একটা দেশে সব ইলেকশন সিসি ক্যামেরা দিয়ে করাও দুরূহ ব্যাপার।’
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কক্ষে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বগুড়া-৬ আসনের আওয়ামী লীগের রাগেবুল আহসান রিপু, জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর, জাকের পার্টির শফিক বিন ফয়সাল, আব্দুল মান্নান আকন্দ, বগুড়া-৪ আসনের জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
এসএ