বগুড়ায় সনদপত্র ছাড়াই চলছে থেরাপি চিকিৎসা

চিকিৎসা একটি মহান পেশা, কিন্তু সেই মহান পেশাকে পুঁজি করেই বেআইনীভাবে দেওয়া হচ্ছে বাত-ব্যথার থেরাপি।
জানা যায়, বগুড়া ঠনঠনিয়া এলাকায় হাজিপাড়া (মাদ্রাসা থেকে ১০০গজ দক্ষিণে) একটি বিল্ডিং এ দেওয়া হচ্ছে বাত-ব্যাথার থেরাপি। প্রতিদিন অসঙ্খ রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, “রাদি ফিজিও থেরাপি সেন্টার” নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে নিয়মিত রুগী দেখছেন মোঃ সাথী আক্তার নামের এক মহিলা। ভিজিটিং কার্ডে লেখা “প্যারালাইসিস, আর্থ্রাইটিস বা বাতজ্বর, সায়াটিকা, সকল প্রকার হার ও মাংস পেশীতে ব্যথা অথবা পেশী শুকিয়ে যাওয়া, ঘাড়, কাঁধ ও কোমড় এবং হাঁটুতে ব্যথা অথবা ঝিনঝিন করা, পোলিও ও সিপি বাচ্চা অথবা শিশুর ঠিকমত বসতে বা হাঁটতে না পারা বা স্নায়ুবিক দূর্বলতা, খেলাধুলা জনিত আঘাত বা ইনজুরি, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা মুখ বাঁকা অপারেশন এর পর হাত-পা নাড়াচাড়া করতে না পারা” সহ আরো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
চেম্বারে রোগী দেখা শেষ করেই চলে যায় হোম সার্ভিসের কাজে। সাধারণত চেম্বারে রোগী দেখা ২০০-৬০০ আর হোম সার্ভিস ৮০০-১০০০ টাকা। তবে সেখানে একাধিক নারী সহযোগী রয়েছে, যারা পুরুষ রোগীকেও আলাদা রুমে নিয়ে গিয়ে থেরাপি দিয়ে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, মহিলা মানুষ পুরুষ মানুষের থেরাপি দেবে এটা সমস্যা নেই, কিন্তু আলাদা রুমে বিষয়টি দুঃখজনক। তাছাড়া তার সহযোগীরাও চিকিৎসা দেন।
এ ব্যাপারে থেরাপি চিকিৎসক মোঃ সাথী আক্তার জানান, তিনি সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করে শহরের জলেশ্বরীতলায় একটি থেরাপি সেন্টারে কাজ শিখেছেন। এবং বর্তমানে নিজেই “রাদি ফিজিও থেরাপি সেন্টার” নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। তবে তার কোন প্রশিক্ষণের সনদপত্র অথবা
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল চিকিৎসা অনুষদের রেজিস্ট্রেশন কিছুই নেই বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রমাণ সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
(এ আর)