ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রী বহিষ্কার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেয়ার আগ পর্যন্ত বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রভোস্টকে প্রত্যাহারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বে দ্বৈত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তার পছন্দমত যে কোন হলে সিট বরাদ্দ এবং শিক্ষার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ইবি’র হলগুলোতে সিসিটিভি মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ হাইকোর্টের। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনকে তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হলে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরীকে নির্যাতনের কথা বলা হয় বিচার বিভাগীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন দুটিতেই।
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে দুই দফায় এক নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের তাবাসসুমের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।