বগুড়ায় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
১লা মার্চ (বুধবার) রাতে স্থানীয় লোকজন গণপিটুনি দিয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তাকে সোপর্দ করেছেন।
অভিযুক্ত আবু রায়হান (২২) উপজেলার আইলপুনিয়া মুজাদ্দেদিয়া দারুসসুন্নাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও দরবার শরীফের হেফজো বিভাগের শিক্ষক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নাটোরের ১৪ বছর বয়সের শিশু নন্দীগ্রাম উপজেলার আইলপুনিয়া মুজাদ্দেদিয়া দারুসসুন্নাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও দরবার শরীফে হেফজো (আরবী) লেখাপড়া করত।
সে অন্যান্য ছেলেদের মত ওই শিক্ষককের সাথে মাদ্রাসার এটি কক্ষে ঘুমাতেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে সব ছাত্রদের নামাজে যেতে বলে ওই শিক্ষক। আর এ ছাত্রের সাথে কথা আছে বলে তাকে দেরি করতে বলেন। পরে শিক্ষক আবু রায়হান তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরকরে বলাৎকার করে এবং এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদান করেন।
১ মার্চ বিকাল ছেলেটি মোবাইল ফোনে বাবাকে মাদ্রাসায় আসতে বলে। তার বাবা মাদ্রাসায় আসলে ওই ঘটনাটি খুলে বলে ঐ শিক্ষার্থী। এমন খবর শুনে স্থানীয় লোকজন শিক্ষক আবু রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। এ সময় তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
(এ আর)