বগুড়ায় হোটেল ড্রীম প্যালেসে অভিযান, মালিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়া সদরে ড্রীম প্যালেস নামের এক আবাসিক হোটেলের মালিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করা হয়েছে। আবাসিক হোটেলের আড়ালে যৌনকর্ম ও যৌনকর্মের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানোর অভিযোগে বুধবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাতে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) হায়দার আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, হোটেল মালিক ইমাম রাসেল (৪০), ব্যবস্থাপক এমদাদুল হক মিলন (৩৮) ও কেয়ারটেকার মহিদুল ইসলাম (৩৫)। বাকি আটজন যৌনকর্মী ও খরিদ্দার।
এর মধ্যে হোটেল মালিক ইমাম রাসেল ও ব্যবস্থাপক এমদাদুল হক মিলন পলাতক। বাকিদের হোটেল থেকে আটক করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি ইমাম রাসেল তার আবাসিক হোটেল ড্রীম প্যালেসে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে বুধবার রাতে পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচ নারী ও তিন পুরুষকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আটক করা হয়। এ সময় হোটলের কেয়ারটেকার মহিদুল ইসলামকেও আটক করে পুলিশ। তবে অভিযান টের পেয়ে হোটেল মালিক ইমাম রাসেল ও ব্যবস্থাপক এমদাদুল হক মিলন পালিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
(এ আর)