প্রধান খবরবগুড়া জেলা

বগুড়ায় মহাসড়কের জায়গায় অবৈধ ফুসকা ব্যবসা

বগুড়ায় মহাসড়কের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় অবৈধভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ফুসকা ব্যবসায় মেতে উঠেছে ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিরা বাসষ্টান্ড এলাকায় আকবরিয়া ও কোয়ালিটি গ্রুপ ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় অবৈধভাবে করে চলছে রমরমা ফুসকা ব্যবসা।

ফোরলেন মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্প চলমান থাকায় মহাসড়কে সবসময় ধুলা-বালি উড়তে থাকে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই পথচারীরা ধুলাবালির কারণে নোংরা কাপড় নিয়েই ছুটে চলছে গন্তব্যে। আর সড়কের এই নোংরা ধুলাবালির কণা উড়ে যাচ্ছে ফুটপাতে তৈরি করা আকবরিয়া ও কোয়ালিটির ফুসকার উপর। এসব ধুলাবালি যুক্ত ফুসকা খেয়ে দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট শেষ করে বন্ধুরা দলবেঁধে আসে ফুসকা খাইতে। কিন্তু এই নোংরা ফুসকা খেয়ে যতটুকু ক্ষতি হচ্ছে তা অতুলনীয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ২৯ ধারায় “মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য সামগ্রী উৎপাদন, বিক্রয় ইত্যাদির উপর বাঁধা নিষেধ” থাকলেও তা যথাযথভাবে মানছেন না আকবরিয়া ও কোয়ালিটি গ্রুপ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সরকারি জায়গা অবৈধ দখল করে মহাসড়কের পাশে এভাবে ব্যাবসা করলে মানুষ চলাফেরা করবে কোথায়? তাছাড়া এই নোংরা ধুলাবালির কারণে খাবারের মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। আর এখানে হোটেল ব্যবসার দুরদর্শিতার চিন্তা থেকে মহাসড়কের নকশাই তো বদলে দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে আকবরিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলাল বগুড়া লাইভকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

পরবর্তীতে আকবরিয়া গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার রাসেল আহম্মেদ বগুড়া লাইভের রিপোর্টারকে ফোন দিয়ে বলেন, অধিগ্রহণের জায়গায় আমরা ব্যবসা করছি তা আমরা সব জেনে শুনেই ব্যবসা করছি। আর ফুসকা’র ব্যবসা সাধারণত বিকাল থেকে চালু করা হয়।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য সামগ্রী উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহ করলে ভোক্তা অধিকার যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম জানান, হয়ত ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা এভাবে ব্যবসা করছে তবে যদি কেউ জায়গা দখল করে ব্যবসা করে তাহলে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবো।

(এ আর)

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button