প্রধান খবরবগুড়া সদর উপজেলা

বগুড়ায় রেলওয়ে মার্কেট থেকে অস্ত্র উদ্ধার! ১০ দিনেও হয়নি মামলা

বগুড়ায় রেলওয়ে মার্কেটে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ১০ দিনেও মামলা হয়নি।

২৬ মার্চ (রবিবার) বিকাল আনুমানিক ৪ টায় বগুড়া রেলওয়ে মার্কেটের কল্যান
ট্রাষ্ট এর দুটি দোকানের মধ্যে থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে বগুড়া সদর ফাঁড়ির পুলিশ।

বিষয়টি সম্পর্কে উক্ত নির্মাণাধীন মার্কেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল কবির জানান, স্থানীয় একজন ছেলেকে পোষ্য সোসাইটি সমিতির ব্যবহৃত অফিস ৪নং গলির ১১৮ নং দোকান খুলে চেয়ার বের করার জন্য বলি।

এ সময় সেখান বেশ কিছু দেশীয় ধারালো অস্ত্র বের হয়, অস্ত্র দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিলে বগুড়া সদর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক খোরশেদ আলম সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে এসে সেখান থেকে প্রাপ্ত বেশকিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। এ সময় ১১৮ নং দোকান (রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি সমিতি)’র কার্যালয়ে ২টা হাসুয়া, ৩টি চা পাতি, ২টি রামদা উদ্ধার করে।
এ সময় সন্দেহ হলে ৩ নং গলির ৮৬ নং দোকান খুলে সেখান থেকে ৪টি কাঠের লাঠি, ১টি ডাবল ঘোড়ার বার্মিস চাকু, ১টি স্টিলের চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দির্ঘদিন ধরেই বগুড়া রেলওয়ে কল্যান ট্রাষ্ট এর
৪নং গলির ১১৮ নং দোকানটি বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি সমিতির (রেজিস্ট্রেশন নং-এস-১১৯৫১) সদর
কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন। ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির সাক্ষরিত সংগঠনের গঠনতন্ত্র ৩০ এর (ক) ও (খ) ধারা মতে ১৭ সদস্যদের বগুড়া সদর রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি সমিতির পুনাঙ্গ কমিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুমোদন করে।

কিন্তু তার মাত্র ২ মাস ২৪ দিন পরেই আবার অনুমোদন দেওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাক্ষরিত একটি পত্রে পুনাঙ্গ কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পত্রে উল্লেখ করা হয়, উক্ত সমিতির কর্মকান্ড সম্পর্কে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দৃশ্যমান অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে বগুড়া সদর রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি সমিতির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। ভবিষ্যতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি বগুড়া জেলা শাখার উপদেষ্টা পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদের সুপারিশ বাধ্যতামূলক।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল কবির জানান, ২৮ মার্চ রাতে আমি বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করতে গিয়েছিলাম। সাধারণ ডায়েরী নিয়েছেন। ১০দিনেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী নিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এ আর)

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button