বগুড়ায় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওয়ার্ড মাস্টারের বদলি

বগুড়ার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের নার্সকে যৌন হয়রানি অভিযোগে অভিযুক্ত সেই ওয়ার্ড মাস্টার শহিদুল ইসলাম সুইটকে বদলি করা হয়েছে।
গত রোববার রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার এই বদলির নির্দেশ দেন।
এতে বলা হয়, প্রশাসনিক কাজে শহিদুল ইসলামকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে আদেশ পালনের কথা বলা হয় চিঠিতে।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. নুরুজ্জামান সঞ্চয়। তিনি জানান, আদেশ অনুযায়ী শহিদুল ইসলাম সুইটকে নওগাঁয় বদলি করা হয়েছে। আর যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত কাজও শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. নুরুজ্জামান।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর ওয়ার্ড মাস্টার সুইটের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন হাসপাতালের এক নার্স। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ ডিসেম্বরে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কমিটি গঠনের ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি। বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অভিযোগ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করায় ওই নার্সকেই শো-কজ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া অভিযোগ করার কারণে অন্য নার্সদেরও হুমকি, ভয়-ভীতি দেখাচ্ছিল হাসপাতালের একটি পক্ষ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘ওয়ার্ডমাস্টার শহিদুল ইসলাম সুইট ওই নার্সের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তিনি ওই নার্সকে বলেন-হাজি সেজেছে, সারাজীবন খারাপ কাজ করে এখন হাতে মুজা, পায়ে মুজা পরে মানুষকে দেখায়। এখনই খারাপ কাজের প্রস্তাব দিলে কাপড় খুলে আবার খারাপ কাজ করবে।.. ’
বিষয়টি ওই নার্স তার স্বামীর সঙ্গে শেয়ার করেন। বিষয়টি নিয়ে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করেন নার্সের স্বামী। এ ঘটনার পরেরদিন অফিস চলাকালীন অবস্থায় শহিদুল ইসলাম এসে নার্সকে গালি গালাজ করে। এমনকি মারধরের চেষ্টাও করেন শহিদুল।
(এ আর)