প্রধান খবরশাজাহানপুর উপজেলা

বগুড়ায় সরকারি জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণ করছেন জামায়াত নেতা

বগুড়ায় সরকারি জমি দখল করে জামায়াত নেতার মসজিদ নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।

জামায়াত নেতার নাম আবুল কালাম আজাদ। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শাজাহানপুর উপজেলার একজন সক্রিয় নেতা।

এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।

অভিযোগকারী বলেন, সরকারি জমি দখল হতে যাচ্ছে, আগেই বুঝতে পেরে ইউএনওকে অভিযোগ দেওয়া হয়। এতেও কোনো লাভ হয়নি। নির্ধারিত দিন থেকে ঠিকই স্থাপনা নির্মাণ কাজও শুরু হয়।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের বৈঠাপাড়াগ্রামে সরকারি জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণ করছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবুল কালাম আজাদ। স্থানীয় কিছু লোকজনের যোগসাজশে মসজিদের নামে ওই গ্রামে থাকা ৫১ শতকসহ আশেপাশের আরও অনেক খাসজমি ভোগ দখলের পায়তারা করছেন তিনি। এ বিষয়ে গত বছরের ১ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ। তিনি বৈঠাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

তার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ২ ডিসেম্বর থেকে বৈঠাপাড়া গ্রামে খাসজমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন একই গ্রামের আজাদ। সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে পুরো জমি ভোগ-দখল করার পাঁয়তারা করছেন তিনি। এর আগে, ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ইউএনও কার্যালয়ে ওই জমি লিজ নিতে আবেদনও করেন আজাদ।

অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জামায়াত নেতা আজাদ মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে সরকারি জায়গা লিজ নিয়ে ভোগ দখলের চেষ্টা করছেন। অবৈধভাবে মসজিদ নির্মাণ করে ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন আজাদ। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া খুব জরুরি।

তিনি আরো জানান, আজাদ ৫১ শতক জমি লিজ না পেয়ে পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর মসজিদের জন্য ১০ শতক জমির জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। এই জমি লিজ পেলেই তার লক্ষ্য ওই এলাকার মসজিদের আশপাশের খাসজমি ভোগ দখল করা।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাস জমি লিজ পাওয়ার আগেই স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন জামায়াত নেতা। এরপরেও উপজেলা প্রশাসন থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ধর্মীয় অনুভূতি ব্যবহার করে অপরাধ করছেন আজাদ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি কোনো সরকারি জমি দখল করছি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদা খানম বলেন, খাসজমি দখলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

(এ আর)

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button