বগুড়া জেলা

বগুড়ায় ১৩ মাসে সাফল্য অর্জন করেছে ষ্টেডিয়াম পুলিশ ফাড়ি

যেখানে রাত পোহালেই ছুরিকাঘাত অতপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু, অথবা পরিকল্পিত হত্যা, অথবা ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু। সেখানে এই দীর্ঘ সময়ে কোন হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়নি এটা সত্যিই জেলা পুলিশের একটি বিশেষ অর্জন।

বগুড়ায় গত ১৩ মাসে ষ্টেডিয়াম ফাড়ি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। আর এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম (সেবা) পিপিএম।

পুলিশ সুপারের নির্দেশে ইনষ্পেক্টর হরিদাস ও তার ফাড়ির পুলিশ সদস্যরা দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ মাসে স্টেডিয়াম ফাড়ি এলাকার কোন হত্যা সংগঠিত হয়নি।

উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) রুবেল জানান, ইতিমধ্যেই স্পিড পুলিশিং নিয়ে আমরা কাজ করছি, যার কারনে ঘটনা ঘটা মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে পৌছিলে সেখানে বড় ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয় না। এভাবেই আমরা কিশোর গ্যাং নির্মূলে কাজ করছি তাই অপরাধ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এলাকাবাসী জানায়, আমরা এখানে শান্তিতে থাকতে পারিনি। একপর্যায়ে ভালো থাকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু বর্তমানে পুলিশ এত দায়িত্বের সাথে কাজ করছে এখন মোটামুটি ভালো আছি। আইনশৃঙ্খলা আগের তুলনায় একটু ভালো হয়েছে।

সর্বশেষ ৩রা জানুয়ারি ২০২২ শহরের মালগ্রাম এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সহ-সম্পাদক নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৮)কে গুলি করে হত্যা করেন।

পরবর্তীতে পৌর পার্ক ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টায় প্রেম
ঘটিত ব্যাপার দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মিরাজ নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মিরাজ বগুড়া শহরের দক্ষিণ বৃন্দাবন পাড়ার মো: আব্দুর রহমানের ছেলে। নিহত মিরাজ বগুড়া পৌর শাখার ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

তার পর থেকে আর কোন হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়নি। বরং আগের তুলনায় ষ্টেডিয়াম ফাড়ি এলাকার অপরাধ কর্মকাণ্ড তুলনামূলক ভাবে কমে গেছে।

উপ-পরিদর্শক (এস আই) সামিম হোসেন জানান, আমরা কোন অপরাধ ছোট হিসেবে দেখিনা। যখন কোন অপরাধ সংঘটিত হয় তখন আমরা সাথে সাথেই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা অপরাধ নির্মূলে বদ্ধ পরিকর।

গত ১৫ মাসে ১৭ টি বার্মিজ চাকু, ১৬ কেজি ২৫০ গ্রাম গাঁজা, ৭৬০ পিস ইয়াবা, ১২২০ পিস ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করেছেন।
গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে ৪২৫ জন আসামী গ্রেফতার, মাদকের মামলা ৭৬টি, অস্ত্র মামলা-১৬ টি, ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা- ০৪ টি।

এ বিষয়ে ষ্টেডিয়াম ফাড়ির ইনষ্পেক্টর হরিদাস বলেন, পুলিশ সুপার স্যার ও ওসি স্যারের নির্দেশে আমরা যথাযথ কাজ করছি। যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয় আমরা সেদিকে খেয়াল রেখে দায়িত্ব পালন করছি। ফাড়ি এলাকার অপরাধ কর্মকাণ্ড তুলনামূলক কমে গেছে এটা আমার পুলিশ সদস্যদের সাফল্য। তারা কাজ করে বলেই আজ আমরা জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।

(এ আর)

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button