ক্রিকেটখেলাধুলা

৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে কলকাতাকে জেতালেন রিংকু

জয়ের জন্য শেষ ওভারে চাই ২৯ রান– এই ম্যাচ কেউ জিততে পারে?

স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে এত দিন যা কেউ দেখেনি, এবার সেটিই করে দেখালেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিংকু সিং। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে কলকাতাকে ৩ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন রিংকু। তার বীরত্বে স্মরণীয় এক জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

এবারের আসরে এটি কলকাতার তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয়।

বিজয় শঙ্করের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ঝোড়ো ব্যাটিং আর রশিদ খানের হ্যাটট্রিক মিলিয়ে নাটকীয়তা কম ছিল না গুজরাট–কলকাতা ম্যাচটিতে। তবে সব ছাপিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে শেষদিকে রিংকুর পাগলাটে ওই ব্যাটিং।

শেষ ওভারে কলকাতার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৯ রান। ইয়াশ দয়ালের করা প্রথম বলে উমেশ যাদব সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন রিংকুকে। বাঁহাতি দয়ালের দ্বিতীয় বলটি ছিল অফসাইডে ফুল টস। বলের নিচে ব্যাট পেতে এক্সট্রা কাভার দিয়ে বাউন্ডারি পার করেন রিংকু। পরের বলও ছিল ফুল টস। প্যাডে আসা এই বলটি রিংকু ওড়ান ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার দিয়ে। তখনো তিন বলে ১৬ রান দরকার বলে খুব একটা দুশ্চিন্তা ছিল না গুজরাট দলে। তবে দয়াল চতুর্থ বলটিও ফুল টস দিলে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে দেন রিংকু। টানা তিন ছয়ে দর্শক মহলে তো বটেই, চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা ডাগআউটেও। জয় তো মাত্র দুই বলে দুটি শটের ব্যাপার!

সতীর্থদের সঙ্গে শলা–পরামর্শের পর পঞ্চম বলে স্লোয়ার মারেন দয়াল, লেন্থও ছিল কম। ততক্ষণে ‘খুনে মেজাজে’ পৌঁছে যাওয়া রিংকু এবার ছয় মারেন লং অন দিয়ে। শেষ বলে চার হলেই চলত। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া এই বল সোজা বোলার মাথার ওপর দিয়ে পাঠান রিংকু। বল বাউন্ডারি পার হওয়ার আগেই ‘অসম্ভব’কে সম্ভব করার উৎসবে মেতে ওঠেন রিংকু। ডাগআউট থেকে বেরিয়ে আসা কলকাতার খেলোয়াড়–কোচিং স্টাফরা তখন অবিস্মরণীয় এক জয়ের উন্মাদনায় মত্ত।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button