প্রধান খবরবগুড়া জেলা

‘বাংলা নববর্ষ’ আমাদের বাঙালী ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক: এসপি সুদীপ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা বর্ষবরণ ১৪৩০ উদযাপিত হয়েছে।

১৪ই এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বাংলা বর্ষবরণের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম (সেবা) পিপিএম। এরপর বর্ণিল সাজে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।

বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনুর সভাপতিত্বে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআইডি পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাউছার সিকদার, হাইওয়ে বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার, (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম,
বগুড়া পুলিশ লাইন্স ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট বেলাল হোসেন,

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ’ আমাদের বাঙালী ঐতিহ্যর ধারক ও বাহক। প্রতিবছর এই দিনটি আমরা বর্ণিল আয়োজনে পালন করে থাকি। সম্রাট আকবর তার শাসনামলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুরু করেছিলেন। সেই থেকে আমাদের এই বাংলা বছরকে বরণ করে নিতে নানা আয়োজন করা হয়ে থাকে। আমরা এই বাংলা বছরের প্রথম দিনে সকলে মিলে আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে এগিয়ে যাবো আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে। আমরা প্রস্তুত হবো, উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে এগিয়ে নেবার জন্য। দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে যদি কোন ষড়যন্ত্র করা হয় তবে আমরা তা রুখে দিয়ে দেশের জন্য লড়ে যাবো। আমাদের রয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আমাদের ধারণ করতে হবে। যাতে করে কেউ আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বিকৃত করতে না পারে। সময়ের সাথে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তাই এই বাংলাদেশকে আমরা সকলে মিলে নিয়ে যাবো উন্নত দেশের কাতারে। বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সারাবিশ্বের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার অনন্য উদাহরণ।
এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি পুলিশ লাইন্স থেকে বের হয়ে কলোনী এলাকা ঘুরে আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে এসে শেষ। মঙ্গল শোভাযাত্রায় পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বাঙালী নানা ঐতিহ্যকে তুলে ধরে অংশ নেয়। এতে কেউ সেজেছে পালকিতে বর-বউ, ঘটক, জেলে, বেদেনী, কেউবার সেজেছে বাউল সহ নানা বরণে। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও শিক্ষার্থীরা গান, নাচ, সাপ খেলা, লাঠি খেলা, বানর খেলা, ঘোড়ার গাড়ি উপভোগ করেন। এছাড়া চড়কী, নাগরদোলায় শিক্ষার্থীরা আনন্দ উপভোগ করেন।
সহকারী শিক্ষক আল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক, অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

(এ আর)

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button