সারাদেশ

সেন্টমার্টিনে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস, আতঙ্কিত আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া মানুষ

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা উৎকণ্ঠার মধ্য ‍দিয়ে দিন পার করছেন। দ্বীপের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় কখন আঘাত হানে, সে আশঙ্কায় ঘুম নেই তাদের চোখে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে রবিবার ভোর থেকে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। সঙ্গে পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বাতাস বেড়েই চলেছে। বৃষ্টিও হচ্ছে, জোয়ার আসা শুরু করেছে। সাগর খুবই উত্তাল। হালকা হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতি উত্তর-পূর্ব দিক। মাঝেমাঝে দিক পরিবর্তন হচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে আছে দ্বীপের প্রতিটি মানুষ। দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অনেকের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে গেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, এ মুহূর্তে সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে পানির উচ্চতা দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। নৌবাহিনী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

অধিকাংশ বাসিন্দাই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় অবস্থান নিয়েছেন। শনিবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশুরা দলবেঁধে তিনটি সাইক্লোন শেল্টার ছাড়াও ৩৭টি হোটেল, রিসোর্ট ও বহুতল ভবনে আশ্রয় নিতে শুরু করেন। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিরা বিপদমুক্তির জন্য দোয়া প্রার্থনা করছেন।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলেও ঝড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় এর গতি ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button