বিনোদন

দেশের সব মদ আমিই খাই! সবাই ধোয়া তুলসী পাতা: পরীমণি

অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ক্লিপ মঙ্গলবার মধ্যরাতে আপলোড করা হয় চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের ফেসবুক আইডি থেকে। যদিও কিছুক্ষণ পরই সেগুলো  মুছে দেওয়া হয়। এদিকে প্রকাশিত ভিডিও-ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ১৭ মিনিট পরেই মুছে ফেলা হয়। তবে ইতোমধ্যেই সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়।

বিষয়টি নিয়ে রাত ৩টা ১০ মিনিটে সুনেরাহ তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন। তবে সু‌নেরাহ তার পোস্টে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শরিফুল রাজের স্ত্রী, চিত্রনায়িকা পরীমণির দিকে।

এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন পরীমণি। পরীমণি বলেন, ‘আমি এখনও কিছু জানি না। আমার নাম উল্লেখ না করে কে কী বলেছে তা জানা নেই আমার।’

পরী আরও বলেন, ‘আমরা সংসার জীবন নিয়ে বেশ ভালোই ছিলাম। কিন্তু এটি অনেকের ভালো লাগছে না। তাই আমার সংসারের পেছনে লেগেছে তারা। তার কথা ও মাতলামি দেখেছেন? এবার বুঝেন। মানুষ মনে করে, দেশের সব মদ আমিই খাই! বাকিরা সবাই ধোয়া তুলসী পাতা। ওই মেয়ে হুমকি দিয়েছে, আইনের ভয় দেখিয়েছে- আইন কি শুধু তার জন্যই। আমিও তাকে দেখে নেব, ধৈর্যের একটা সীমা আছে! আমার মনে হয় ও (সুনেরাহ) আমার সংসারটা ভাঙার চেষ্টা করছে।’

ছবি: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত

এর আগে সুনেরাহ তার স্ট্যাটাসে জানান, ‘আমি রাজকে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে আমার অনেক ভালো বন্ধু ছিল। তবে তার বিয়ের পর থে‌কে আমাদের প্রায় যোগাযোগই ছিল না। সেদিন একটা ডাবিং স্টুডিওতে আমা‌দের দেখা হলো। আমরা একস‌ঙ্গে ছ‌বি তুললাম। আমি জানি না, পুরোনো বন্ধুর সাথে একটা ছবি তোলা কী এমন অপরাধের বিষয়! তার স্ত্রী (পরীমণি) কোনো কারণ ছাড়াই এটা নিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে গেল। যে ভিডিওগুলো আপনারা দেখেছেন, (শরিফুল রাজের অ্যাকাউন্টে) সেগুলো পাঁচ বছর আগের। ‘ন ডরাই’ সিনেমার সময়ের।’

তিনি আরও লেখেন, ‘তখন এভাবেই আমরা মজা করতাম, আর প্রতিদিন এভাবে কথা বলার প্র্যাকটিস করতাম। কারণ আমাদেরকে (বিশেষ করে আমাকে) সিনেমার প্রয়োজনে এভাবে গালি দিতে হয়েছে। তাকে (রাজকে) একটি ছবি আমি তখন পাঠিয়েছিলাম, তাকে এটা জানানোর জন্য যে আমি শুটিংয়ে মার খেয়েছি (যেখানে লিয়াকত আমাকে মারে, ন ডরাই সিনেমাটা যাঁরা দেখেছেন, তারা জানবেন), মার খেয়ে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল, উঠে দাঁড়াতেও পারছিলাম না। শুটিংয়ে যেতে পারব না এটা জানানোর জন্য ছবিটা পাঠিয়েছিলাম। তবে শুধু তাকে না, পরিচালককেও পাঠিয়েছিলাম।’

এছাড়া সুনেরাহ বলেন, ‘দয়া করে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। কারণ আমি নিশ্চিত, ওর (রা‌জের) আইডি হ্যাকড হয়েছে। আর কে হ্যাক করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি, প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না (সে-ই করেছে)। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button