ধুনট উপজেলাপ্রধান খবর

বগুড়ায় এক কর্মকর্তা ও ২ পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার

বগুড়ার ধুনট থানা থেকে অটো ভ্যান চুরির মামলার এক আসামি পালিয়ে যাওয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে,বগুড়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে ।
আজ বুধবার দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন—কনস্টেবল মোত্তালিব ও শাহাদত হোসেন এবং পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম।

থানা-পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার মানিকপোটল গ্রামের আব্দুস সোবহানের একটি অটো ভ্যান মরিচতলা বাজার এলাকা থেকে চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এ অবস্থায় চুরি করে নেওয়া অটো ভ্যানটি একই এলাকার মথুরাপুর বাজারে বিক্রির চেষ্টা করে তারা। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে গণধোলাই দেয় এবং মধ্যরাত তিনটার দিকে থানা-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পরে পুলিশ গিয়ে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মিনু মিয়া (৩৬) ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই চান মিয়ার ছেলে শাকিল (২৪) ও একই গ্রামের সোহাগ বাবুকে (৩০) আটক করে থানায় নেয়। কিন্তু জনতার গণধোলাইয়ে অসুস্থ সোহাগ বাবুকে ধুনট থানা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে থানার প্রধান ফটকে এসআই শহিদুল ইসলামের হাত থেকে সোহাগ বাবু পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অটো ভ্যানের মালিক বাদী হয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিনু মিয়া ও শাকিলকে মঙ্গলবার দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় মামলার বাদী অটো ভ্যানচালক আব্দুস সোবহান আজকের পত্রিকাকে জানান, চুরি যাওয়া অটো ভ্যান উদ্ধারসহ তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে সোহাগ বাবু নামে একজন পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায়।

কীভাবে আসামি পালিয়ে গেল জানতে চাইলে উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের দুই কনস্টেবলের হেফাজতে দিয়েছিলাম। তাদের কাছ থেকে সোহাগ বাবু নামে এক আসামি পালিয়ে গেছে।’

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে বগুড়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই শহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল মোত্তালিব এবং শাহাদত হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button