গাবতলী উপজেলা

বগুড়ায় পশু চিকিৎসক দিচ্ছে মানুষের চিকিৎসা! প্রতারিত হচ্ছে জনসাধারণ

বগুড়ায় গাবতলীতে পশু চিকিৎসক দিচ্ছে মানুষের চিকিৎসা সেবা, আর তার চিকিৎসায় প্রতারিত হচ্ছে এলাকার সাধারন মানুষ।

জেলার গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়ন এর কদমতলী গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে কাউছারুল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন বয়সী মানুষের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাঁকজমকপূর্ণ দ্বি-তলা নিজস্ব একটি বিল্ডিং এ অত্যাধুনিক ফার্মেসী দিয়েই ওষুধ ব্যবসার পাশাপাশি হরহামেশাই দিয়ে যাচ্ছে মানুষের চিকিৎসা। আর তাতে বাড়ছে স্বাস্থ ঝুকি সহ মানব স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও চিকিৎসক সেম্পল ওষুধ দিয়ে বোঝাই করে রেখেছে আলমারি। যেখানে নেই কোন সাইনবোর্ড আর নেই ওষুধ প্রসাশন অধিদপ্তরের বৈধ কোন অনুমোদন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, দির্ঘদিন ধরেই তিনি চিকিৎসা দিচ্ছেন, আমরা তো তার কাগজপত্র দেখে চিকিৎসা নিইনা।

অপর এক ব্যাক্তি বলেন, হাতের কাছে পাই তাই বাজারে যেতে হয়না। শুনছি সে নাকি বড় ডাক্তার।

অভিযুক্ত চিকিৎসক বলেন, তিনি মানুষের চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরীক্ষায় ফেল করে সনদপত্র পাননি। পরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর আওতাধীন গবাদিপশু-পাখি পালন ও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ৬মাস মেয়াদি সার্টিফিকেট ইন লাইভষ্টক এন্ড প্রোল্ট্রি (সিএলপি) কোর্স করেন। যার কোন সনদ নেই।

আগে তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ছিলেন। পরবর্তীতে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি একটি ফার্মেসী দিয়ে ওষুধ ব্যবসা ও চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।

পরবর্তীতে নশিপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে নিজেই দ্বি-তলা ফ্লাট বাসা নির্মাণ করে সেখানে গত দেড় বছর যাবৎ চিকিৎসা দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক বলেন, আমি মানুষের চিকিৎসা শিখতে গিয়েছিলাম কিন্তু ফেল করেছি। পরে পশু চিকিৎসার প্রশিক্ষন নিয়েছি কিন্তু সনদপত্র পাইনি। আমি যা করছি সেটা অন্যায়, কিন্তু ছাগলের খামার দিব তাই ওষুধের ব্যবসা দোকান দিয়েছি। এলাকার লোকজন আসে তাই চিকিৎসা দিই।

এ আর

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button