কাহালু উপজেলা

বগুড়ায় ব্যাংকে চাকরি দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

মাসুম হোসেন: সাড়ে চার মাস আগের ঘটনা। ইনজামুলকে ব্যাংকে চাকরি পাইয়ে দেবেন-এমন কথা বলে তার কাছ থেকে অর্থ দাবি করেন রাজু। তার কথা অনুযায়ী তাকে টাকা দেন ইনজামুলের স্বজনরা। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ঢাকা যাওয়ার পর।

ঢাকায় নিয়ে ইনজামুলকে এক ব্যাংকের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে বলা হয় এই ব্যাংকেই আপনার সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি হয়ে গেছে। এখানে ডিউটি করেন। এ কথা বলে রাজু সেখান থেকে চলে আসেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার কিছু সময় পরই ইনজামুল বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। পরে ওই দিনই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত ২২ জুন ইনজামুলের ভাগনে মুশফিকুর রহমান বগুড়ার কাহালু থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে এখন পর্যন্ত হয়নি অভিযোগের সুরাহা। অন্যদিকে অভিযুক্ত রাজু তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছেন।

৫০ বছর বয়সী আব্দুর রাজ্জাক রাজু কাহালু উপজেলার ডোমরগ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা মুশফিকুর রহমান একই উপজেলার বামুজা গ্রামের বাসিন্দা। আর ২৭ বছরের ইনজামুল হক ঝিনাই গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী।

মুশফিকুর বলেন, আমার মামা ইনজামুল একজন রাজমিস্ত্রী। তাকে অগ্রণী ব্যাংকের পাহাদারের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গত ১১ মার্চ ২ লাখ টাকা নেন রাজু। পরে মামাকে ঢাকা নিয়ে গিয়ে এক ব্যাংকের সামনে রেখে বলেন আপনার চাকরি হয়ে গেছে। এখন এখানে পাহারা দেন। এরপরই রাজু সেখান থেকে চলে আসেন। ওই ব্যাংকের সামনে কিছু সময় থাকার পর মামা বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। পরে গ্রামে ফিরে এসে ঘটনা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এখন রাজুর কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলেই আমাদের হুমকি দিচ্ছেন তিনি। বলছেন আমাদেরকেই নাকি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবেন।

মুশফিকুর বলেন, রাজুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি একজন প্রতারক। অনেক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে তিনি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। মামার চাকরির জন্য আমরাই তাকে টাকা দিয়েছিলাম। একারণে আমি নিজেই অভিযোগ করেছি।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত রাজু বলেন, আমি কাউকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেইনি। এসব মিথ্যা অভিযোগ।

তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, যে কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। তবে তা প্রমাণ করতে হবে।

জানতে চাইলে কাহালু থানার এএসআই বেলাল হোসেন বলেন, রাজুর সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি তিনি একজন প্রতারক। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। যদিও তাকে টাকা দেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই বাদী মুশফিকুরদের কাছে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button