বগুড়ায় স্বস্তির বৃষ্টিতে দুর্ভোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ অপেক্ষার পর বগুড়ায় দেখা মিললো কাঙ্খিত বৃষ্টির। স্বস্তি নামলো পৌরবাসীর জীবনে। তবে একই সঙ্গে নেমে এলো দুর্ভোগও। বৃষ্টিতেই ড্রেন ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেল। খানাখন্দে ভরা সড়কে সৃষ্টি হলো জলাবদ্ধতা।আর এতেই পরিবহনচালক ও পথচারীদের শুরু হয় ভোগান্তি।
দীর্ঘ বছর ধরে বগুড়া পৌরসভার সড়কগুলোর এমন বেহাল অবস্থা। এরমধ্যে অন্যতম গোহাইল সড়ক। মাঝে মধ্যে সংস্কারের ছোঁয়া লাগলেও বেশিদিন ভালো থাকে না এ সড়ক। মাস ছয়েক পার না হতেই ফের হয়ে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী।
শহরের সাতমাথা থেকে এই সড়কের উৎপত্তি। এর উপর দিয়ে শহরের খান্দার, সূত্রাপুর, সেউজগাড়ী, মালগ্রাম, ফুলতলা, শাকপালা এলাকার লোকজনের আসা-যাওয়া।
তবে আরেকভাবে এই সড়ক বেশি গুরুত্ব পায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে যাওয়া-আসা করা যাত্রীদের কারণে। শুধু তাই নয়, এই সড়কের গুরুত্ব কম নেই নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর এবং কাহালু উপজেলার একাংশের বাসিন্দাদের কাছেও। তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
আজ সোমবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বগুড়া শহরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে দুপুরে টানা তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে নামে দুর্ভোগ।
শহরের ফুলতলা এলাকার ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বলেন, তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে পরিবেশ শীতল হলেও সড়কে চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ড্রেন ও রাস্তা বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে গেছে। পৌরসভার ড্রেনের কারণে সড়কে চলাচল করা বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ দুপুরে ১৬ বছরের এক কিশোরী ফুলতলার রাস্তার ধার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই সে পৌরসভার ড্রেনে পড়ে যায়। এতে তার পায়ের একটি স্যান্ডেল ড্রেনে হারিয়ে যায়। পরে অন্য স্যান্ডেল ফেলে দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয় ওই কিশোরী। সড়ক ও ড্রেনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি শিকার হয়েছে সে।
শহরের ব্যাটারি চালিত অটোচালক আব্দুল আলীম, শিপনসহ অন্তত দশজন পরিবহন চালক জানান, শুধু যে বর্ষাতেই শহরের গোহাইল সড়কে দুর্ভোগ পোহাতে হয়-বিষয়টি এমন নয়। খান্দাখন্দে ভরা এই সড়কে সারা বছরই দুর্ভোগ থাকে। শহরের খান্দার ও ফুলতলা এলাকায় এ সড়কের বেহাল অবস্থা।
জানতে চাইলে বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, গোহাইল সড়কের অবস্থার কথা জানা আছে। ফুলতলা ও খান্দার এলাকায় সড়ক সংস্কার করা হবে। একই সঙ্গে ফুটপাত নির্মাণসহ ড্রেনের কাজও ভালোভাবে করা হবে। এসব কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে।