বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করায় ৩ কলেজ কর্মচারী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের ভর্তি হতে এসে প্রতারিত হন কিছু শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ওই কলেজ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- হারুনুর রশিদ হারুন, আমিনুল ইসলাম ও আব্দুল হান্নান। তাদের মধ্যে হারুন ওই কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী। আব্দুল হান্নান অফিস সহকারী ও আমিনুল অফিস সহায়ক।
তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া র্যাব-১২ ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার মো. নজরুল ইসলাম।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী হারুনুর রশিদ তাদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ ৮ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। এরপর খাতায় তাদের নামও উঠানো হয়। নিয়মিত ক্লাসও করতেন তারা। দিতেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতনও। এইচএসসি পরীক্ষা দিন ঘনিয়ে আসতে থাকলে হারুনের কাছে প্রবেশপত্র চাওয়া হয়। কিন্তু তা দিতে তালবাহানা শুরু করেন হারুন। অবশেষে বছর দুয়েক পর পরীক্ষার দিনেও প্রবেশপত্র না পেয়ে তখনই কলেজে এসে অবস্থান নেন তারা। আর ঐদিনই জানা গেল শাহ সুলতান কলজের শিক্ষার্থীই নন তারা। ফলে কলেজের কিছু কর্মচারীর প্রতারণার শিকার হয়ে দুই বছর পিছিয়ে গেলেন শিক্ষার্থীরা।
শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, ১৫-২১ জন শিক্ষার্থী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। হারুন তার সহযোগীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেন। প্রতারকরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পান- এটাই আমাদের দাবি।
র্যাব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আটক করা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা দেখা হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানতে চাইলে শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহিদুল আলম বলেন, কিছু শিক্ষার্থী প্রতারিত হয়েছে। তারা আমার কলেজের শিক্ষার্থীই নয়। এ ঘটনায় প্রতারকরা শাস্তি পাবেন।