বগুড়ার মেয়র বাদশার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বাদশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন না নিয়ে পৌরসভায় বিএনপির দশকর্মীকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারা মেয়র বাদশার ব্যক্তিগত কাজ করেন। অথচ প্রতিবছর পৌরসভা তহবিল থেকে তাদেরকে প্রায় ১০ লাখ টাকা বেতন দেওয়া হয়।
পৌরসভার নানা কাজেও স্বজনপ্রীতি রয়েছে বাদশার। কাজ না করেই টেন্ডারের বিল দেন দেওয়া হয়। এমনকি বিনা টেন্ডারে পৌরসভার মসজিদে ৫০ লাখ টাকার কাজও করান বাদশা। এছাড়াও বিভিন্ন ভবনের প্ল্যান অনুমোদনে করেন অনিয়ম। পৌরসভার এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে করেন আত্মসাত। হাট-বাজার ও বাস টার্মিনালের ইজারার অর্থও যায় তার পকেটে। নাগরিকের জন্ম নিবন্ধনের টাকাও আত্মসাত করেন তিনি।
এসব বিষয়ে গত ৩ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বগুড়া সদরে কৈগাড়ী এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার ঠিকাদার এমএকে আজাদ। পরবর্তীতে গত ১৭ আগস্ট বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের (পৌর-১ শাখা) উপসচিব আবদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মেয়র বাদশা আড়াই বছরে রাজস্ব তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। একই সঙ্গে উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ শহর অবকাঠামো প্রকল্প থেকে আরও ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদশা বলেন, অভিযোগকারী এমএকে আজাদ একজন দুর্নীতিগ্রস্থ। তাকে পৌরসভায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তিনি।
বাদশার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে বগুড়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুম আলী বেগকে। তবে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।