জাতীয়দিবসপ্রধান খবর
আজ দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪ মাস আগে খুলনায় ১৯৭১ সালের ২৭ আগস্ট এক নারকীয় হত্যা চালায় রাজাকার বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনারা। ৬০ জন নিরপরাধ বাঙালিকে এদিন গুলি করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। সেসব শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করছে দিঘলিয়াবাসী।
খুলনা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে ভৈরব নদীর পাশ ঘেঁষে অবস্থিত দিঘলিয়া উপজেলা। স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন এখানে ছিল বিহারীদের কলোনি। আর এ কারণেই নিরীহ বাঙালিদের ওপর সে সময় নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন।
সে সময়ের হত্যাযজ্ঞে রাজাকার বাহিনী ৬১ জন বাঙালিকে আটক করে। নির্মম সেই দিনে একজন ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়।
বেঁচে যাওয়া আবুল বাশার একমাত্র সাক্ষী সেই নারকীয় দিনের। শরীরে ১৯টি আঘাত নিয়ে বেঁচে থাকা বাশার বলেন, সেদিন ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই পাক সেনারা রাজাকারদের নিয়ে হামলে পড়ে দিঘলিয়ার দেয়াড়া গ্রামের অসহায় নিরীহ মানুষের ওপর।
তিনি জানান, নারকীয় ওই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৬০ জন। এর মধ্যে ৩৮ জনের লাশ ভৈরব নদীতে ফেলা দেয়। বাকি ২২ জনকে তিনটি গণকবরে মাটিচাপা দেয়া হয়।