১৬৪ রানেই শেষ বাংলাদেশ
দলের বাকি সবাই যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে, এক প্রান্ত আগলে তখন ইনিংসের হাল ধরে রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ৮৯ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোভাবে দেড় শ’র ঘর পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ। শান্ত ছাড়া দাঁড়াতে পারেনি কেউই। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন তাওহীদ হৃদয়।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেল্লে স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজের প্রথম ম্যাচে অল্প রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি টাইগাররা। ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
শান্ত যখন মাঠে আসেন, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার তখন, ফিরেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথমবার মাঠে নেমে অভিষেকটা স্মরণীয় করতে পারেননি তিনি। দেশের ১৬তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই ০ রানে ফেরেন তামিম।
আশা জাগিয়েছিলেন নাইম শেখ। শান্তকে নিয়ে ইনিংস গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। তবে ওই স্বপ্ন স্বপ্নই রেখে ১৬ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। আনন্দের খবর হলো এই ১৬ রানই নাইম শেখের ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ২৫ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
হাল ধরতে পারেনি সাকিব আল হাসানও। যখন তার দিকে সবাই তাকিয়ে অধিনায়কোচিত একটা ইনিংসের অপেক্ষায়, যেই মুহূর্তে তার দায়িত্ব তুলে নেয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, তখনই ফিরেছেন সাকিব। ১১ বলে ৫ রান আসে তার ব্যাটে।
চার বাঁহাতি ব্যাটারের পর পাঁচ নম্বরে প্রথম ডানহাতি ব্যাটার হিসেবে মাঠে আসেন তাওহীদ হৃদয়। শান্তকে বেশ ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন তিনি। পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটিও হয় তাদের। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি হৃদয়, ৪১ বল খেলে ২০ রানে ফেরেন তিনি।
নামের সুবিচার করতে পারেনি মুশফিকুর রহিমও। দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরেছেন ২২ বলে মোটে ১৩ রান করে। যে ভরসা করে সাত নম্বরে জায়গা দেয়া হয়েছিল মেহেদী মিরাজকে, তা রাখতে পারেননি তিনি। রান আউটের ফাঁদে ফিরেন ১১ বলে ৫ রান করে। ১৪১ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১৬২ রানের মাথায় ৬ রান করে আউট হন শেখ মেহেদী। এরপর আর ২ রান যোগ হতেই শেষ তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই সময় ফিরেন শান্তও। শতকের সম্ভাবনা জাগিয়েও তিনি ১২২ বলে ৮৯ রান করেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩২ রানে ৪ উইকেট নেন পাথিরানা, ১৯ রানে ২ উইকেট নেন থিকসানা।