বগুড়ায় যমুনার ভাঙন আতঙ্কে আরও ২ শতাধিক পরিবার

সুমন কুমার সাহা, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ২২ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। প্রবল স্রোতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা গ্রামে নদী ভাঙন অব্যাহত আছে ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ১ ঘণ্টায় ইছামারা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনে শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় । সে সময় বেশকিছু ঘরবাড়ি ও মালামাল নদীতে ভেসে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও টিউব ও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে ইছামারা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে ভাঙন রোধে জরুরিভিত্তিতে কাজ চলছে অপরদিকে নতুন করে আরও ২ শতাধিক পরিবারের লোকজন নদী ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়ি ও মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে।
ইছামারা থেকে গোদাখালি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার পরিত্যক্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দু’পাশে বসবাস করা এসব পরবিারের লোকজন তাদের বসতঘর, মালামাল, গবাদিপশু নিয়ে অন্যত্র সরে যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং ভাঙনআতঙ্কগ্রস্তরা পাশেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছে। কিছু পরিবারকে এলাকা ছেড়ে অন্য উপজেলায় চলে যেতে দেখা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, শনিবার ৯টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । এরপর থেকে অপরিবর্তিত থেকে যমুনার পানি বিপৎসীমার ২২ সে.মি. ওপরে রয়েছে। উজানে পানি কমেছে। নদী ভাঙন রোধে জরুরিভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রবিবার থেকে পানি কমবে এবং নদী ভাঙন রোধ হবে বলে আশা করছি ।
এদিকে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম শনিবার দুপুরে ভাঙন কবলিত ইছামারা এলাকা পরিদর্শন করেন । এ সময় তিনি নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২’শ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন ।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক, পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাইফুল ইসলাম, কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাছেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।