বগুড়ায় আলুর অবৈধ মজুত: ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয় নিশ্চিত করতে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকায় আর এন্ড আর পটেটো কোল্ড স্টোরেজ তদারকি এবং আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে শিবগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকায় আর এন্ড আর পটেটো কোল্ড স্টোরেজে আলুর মজুত, সরবরাহ পরিস্থিতি, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ ও পাকা রশিদ নিশ্চিত করতে সকাল থেকে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় অতিরিক্ত মুনাফা ও মজুত করায় শাহ আলম, জাহিদ হাসান ও রিপন নামে তিনজনকে আটক করা হয়। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, শুধুমাত্র হলুদ কাগজ আর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করছে এক শ্রেণীর দালাল ও অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে করে সরকার আয়কর বাবদ তাদের রাজস্ব হারাচ্ছে বলেও জানান ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক। দু তিন দিনের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসলে বিদেশ থেকে আলু আমদানির সুপারিশ করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে আলুর অবৈধ মজুতদারদের সতর্ক করে বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি মাফুজুল ইসলাম রাজ বলেছেন, দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে অতিরিক্ত মুনাফা আদায়কারী ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে না বগুড়া চেম্বার অব কমার্স।
বর্তমানে জেলার ৪১ টি হিমাগারে প্রায় এক লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুদ আছে। বাজার ঘুরে দেখা যায় খুচরা পর্যায়ে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়।