যুদ্ধ-সংঘাতের পথ পরিহার করতে বিশ্ব নেতাদের আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নেতাদের কাছে যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহারের আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮-তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্বে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার জলবায়ু সঙ্কট, অভিবাসন, সুবিচার, ন্যায় ও ন্যায্যতার নীতি, বাংলাদেশের উন্নয়ন, নারী নীতি, জরুরি আন্তর্জাতিক আর্থিক অবকাঠামো, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য, সুনীল অর্থনীতি, ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ, খাদ্য ব্যাংক চালুর প্রস্তাব, যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার, মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা, বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা, ফিলিস্তিনের বিপর্যয়, রোহিঙ্গা সঙ্কট ইস্যূতে বাংলায় ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দক্ষতা ও বৈধতা নিয়ে মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। এর ফলে একটা শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অর্জিত সাফল্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। করোনা মহামারি ও জলবায়ু সঙ্কটের প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য, অর্থায়ন এবং জ্বালানি নিরাপত্তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন-লক্ষ্যসমূহ অর্জনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। সকলের জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য অভিন্ন সঙ্কট মোকাবেলায় আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এ জন্য, আমাদের অবশ্যই বিভাজন, সঙ্কীর্ণতা ও বিচ্ছিন্নতার বিপরীতে একতা, সহমর্মিতা ও বহুপাক্ষিকতা বেছে নিতে হবে। শান্তি ও টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের উদ্দেশ্যে আমাদের অবশ্যই সুবিচার, ন্যায় ও ন্যায্যতার নীতি অনুসরণ করতে হবে, যার ভিত্তি হবে জাতিসংঘ সনদ এবং ২০৩০ এজেন্ডা।