লাইফস্টাইল

কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কলা আমাদের পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে আর কলার মধ্যে পুষ্টিও প্রচুর পরিমাণে থাকে। কলার মধ্যে ফাইবারের ভাগ বেশি থাকে। এই ফাইবার পানিতে দ্রবণীয়। আর এই ফাইবার হজম করতে সুবিধা হয়। ফাইবার থাকে বলে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।

প্রতিদিন নিয়ম করে কলা খেলে নিয়মিত মলত্যাগও অনেক সহজ হয়ে যায়। আর কলা প্রোবয়োটিক হিসেবেও কাজ করে, যা অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে। আমেরিকান পুষ্টিবিদ এরিন কেনির মতে, ফাইবার ছাড়াও কলায় প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টুলিগোস্যাকারাইড (এফওএস) থাকে। এফওএস হল এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের শরীর হজম করতে পারে না তবে অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে। তবে কলা নিয়ম করে খেতে হবে।

২০১১ সালে অ্যানারোব জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর কলার প্রভাব পরীক্ষা করেন। আর সেখানেই দেখা গেছে রোজ কলা খেলে অন্ত্রে বিফিডোব্যাকটেরিয়া এবং ল্যাকটোব্যাসিলির মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। এতে হজমের সমস্যাও ভাল হয়।

২০১৮ সালে ইউরোপীয় জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় আইবিএস সমস্যার উপর গবেষণা করা হয়। এই সমস্যা হলে অন্ত্রে ফোলাভাব, ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে কলা খেলে অনেকটা সুরাহা হয়। পাকা কলার পাশাপাশি কাঁচা কলাও শরীরের জন্য ভালো। এর মধ্যে স্টার্চের পরিমাণ কম।

তবে পাকা কলার কোনো তুলনা নেই। এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক বেশি থাকে। কলায় ভিটামিন, খনিজও প্রচুর পরিমাণে থাকে। কলা বেশি পাকা হলে তখন তাতে সুগারের পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। কলা নিয়ম করে খেতে হবে। তবে চেষ্টা করবেন সকালের দিকে কলা খাওয়ার। ব্রেকফাস্টের সঙ্গে খেলে সবচাইতে ভালো। তবে সন্ধ্যের পর কলা একেবারেই নয়।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button