খালেদার দেশে চিকিৎসার সব অপশন শেষ: মেডিকেল বোর্ড
নানান জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘নাজুক’ জানিয়ে তাকে আবার ‘দ্রুত’ বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ পরামর্শ দিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
চিকিৎসদের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ‘মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে গেছে’। চিকিৎসায় দেশে যা কিছু করার, তা শেষ হয়ে এসেছে। ‘কোনো ওষুধে কাজ করবে না’, এই রকম একটা অবস্থায় চলে যেতে পারে পরিস্থিতি।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে পরিবারের আবেদন সরকার একাধিকবার প্রত্যাখ্যানের মধ্যে সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে আসেন চিকিৎসকরা।
দীর্ঘদিন ধরে আথ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি ও ডায়াবেটিসহ নানা রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রী।
মেডিকেল বোর্ডের পক্ষে অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, “ম্যাডামের পেটে পানি জমছে, ফুসফুসে সংক্রমণ, পেটে অল্প অল্প রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এবার হাসপাতালে ভর্তির পর উনাকে চার ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। বাস্তব অবস্থা অত্যন্ত জটিল ও কঠিন। আমাদের এই মেডিকেল বোর্ড এবং চিকিৎসায় সম্পৃক্ত সবাই চব্বিশ ঘণ্টা উনাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে।”
দেশে চিকিৎসার ‘সব অপশন শেষ হয়ে এসেছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের হাতে কোনো অপশন নাই। যদি আমরা দুই বছর আগে টিপস (চিকিৎসার একটি পদ্ধিতি) প্রসিডিউরটা করতে পারতাম, তাহলে আজকে উনার পেটে ও বুকে পানি জমা হত না, উনার পেটে কোনো রক্তক্ষরণ হত না।”
এখনও ‘সময় শেষ হয়ে যায়নি’ মন্তব্য করে এই চিকিৎসক বলেন, “এখনও সময় আছে যদি ‘টিপস’ করা হয় এবং বিদেশে উন্নত মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে নিয়ে উনার ‘টিপস’ পরবর্তী লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়, সম্ভবত এখনও আমাদের হাতে অপশন আছে যে, আমরা হয়ত উনার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারব।
“এই ‘টিপস’ প্রসিডিউরটার কথা বলেছি, এটা ইমিডিয়েট দরকার। এই টিপস বাংলাদেশে হয় না। এটা হলে উনার বুকে যে পানি আসছে এটা চলে যাবে, রক্তক্ষরণ হবে না। এটা লাইভ সেভিংস প্রসিডিউর। এটি বাংলাদেশে হয় না। লিভার ট্রান্সপ্লান্টও বাংলাদেশে হয় না।”