মাহমুদউল্লাহ’র ঝড়ে বাংলাদেশের লড়াই করার মতো সংগ্রহ
দলের ২০০ রানের মাথায় মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর শঙ্কা ছিল সম্মানজনক স্কোর পাওয়া নিয়েই। সেই শঙ্কা উড়িয়ে মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ভর করে বলা যায়, ভারতের বিপক্ষে অন্তত লড়াই করার পুঁজি পেল বাংলাদেশ।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। চোট থেকে সেরে না ওঠায় সাকিব ছাড়াই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। দলের নেতৃত্বে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের শুরুটা ছিল একেবারেই মন্থর। তামিম রান তোলার চেষ্টা করলেও লিটনের চেষ্টা ছিল থিতু হওয়ার।
প্রথম রানের দেখা পেতেই লিটন খেলেন ১৪ বল। আরেকপ্রান্তে দ্রুত রান তুলেছেন তামিম। ৪৩ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কায় যখন ৫১ রানের ইনিংস খেলে ফিরছিলেন তখন ওপেনিং জুটিতে ২৪ বছরের রেকর্ড ভাঙে বাংলাদেশ।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে করা পাকিস্তানের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন অপি এবং শাহরিয়ার হোসেনের করা ৬৯ রানের ওপেনিং জুটির রেকর্ড।
তামিমের বিদায়ের পর ১৭ বলে ৮ রান করে শান্ত ফিরেন রবীন্দ্র জাদেজার বলে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে ৩ (১৩) রানে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। দলের বিপাকে একপাশ আগলে রেখে লিটন তুলে নেন ৬২ বলে ৫টি চারে চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক।
তবে ইনিংসটা বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। অনেকটা উইকেট ছুড়ে আসার মতো। রবীন্দ্র জাদেজার ধারহীন বলে লং অফে ক্যাচ তুলে ৬৬ রান (৮২) করে ফিরেন সাজঘরে।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। আজও শার্দুল ঠাকুরের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৬ রান করতে খেলেন ৩৫টি বল।
মুশফিকুর রহিম এই ম্যাচে পূর্ণ করেন বিশ্বকাপের ক্যারিয়ারে ১ হাজার রান। তবে এগোতে পারেননি বেশিদূর। ৪৬ বলে ৩৮ রান সাজঘরে ফিরেন জসপ্রিত বুমরার বলে জাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর নাসুম আহমেদ-মাহমুদউল্লাহর জুটি থেকে আসে ২৬ বলে ৩২ রান। নাসুম দুই বাউন্ডারিতে ১৮ বলে ১৪ রান করে ফিরেন সিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে।
২৩৩ রান তুলতে যখন ৭ উইকেট নেই তখন মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে একাই টেনে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বুমরার বলে বোল্ড হয়ার আগে খেলেন সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৬ রানের ইনিংস। তাতে বাংলাদেশ পায় ৮ উইকেটে ২৫৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ।