চা নাকি গ্রিন টি, কোনটা বেশি উপকারী
অভ্যাসগত কারণ হোক কিংবা আড্ডা, এর বাইরে কখনো কখনো ওষধ হিসেবেও চা পান করা হয়। হাসি, কাশি কিংবা ঠান্ডা, সর্দি জ্বর হলেও চা পান করা হয়। অনেকে বলে থাকেন, চা পানে ছোটখাটো এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে যাইহোক, চা কিন্তু ঠিকই পান করা হয়। আড্ডা মহলে অনেকেই প্রশ্ন তুলে থাকেন, লিকার চা নাকি গ্রিন টি, কোনটা বেশি উপকারী।
এ ব্যাপারে কলকাতার কেপিসি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিশিষ্ট ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ ডা. অরিত্র খাঁ ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবার তাহলে এই পুষ্টিবিদের ভাষ্য অনুযায়ী কোন চা’র কেমন উপকারিতা, তা জেনে নেয়া যাক।
গ্রিন টি’র বিকল্প হয় না : এই চায়ে এপিগ্যালেটো ক্যাটেচিন গ্যালেট নামক উপাদান রয়েছে। যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ জন্য নিয়মিত গ্রিন টি পানে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার, হার্ট ডিজিজ থেকে শুরু করে নানা জটিল ক্রনিক অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আবার এই চায়ে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা বিপাকের হার বাড়িয়ে থাকে। নিয়মিত গ্রিন টি পানে আবার অনাকাঙ্ক্ষিত বেড়ে যাওয়া ওজন থেকেও মুক্তি সম্ভব।
গুণের রাজা লিকার চা : পুষ্টিবিদ ডা. অরিত্র খাঁর মতে, লিকার চায়ে থিওফাইলিনের মতো খুবই উপকারী উপাদান রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। একই সঙ্গে ওজন কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই লিকার চা। এতে কিছুটা ক্যাফিন বিদ্যমান থাকায় মুড বুস্ট করার কাজেও সহায়তা করে। তাই শরীর ও মন দুটোই চাঙা রাখতে নিয়মিত লিকার চা পান করতে পারেন।
কোনটা বেশি উপকারী : এ ব্যাপারে এ পুষ্টিবিদ বলেন, লিকার চা ও গ্রিন টি’র লড়াইতে গ্রিন টি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। কেননা, লিকার চায়ে ক্ষতিকর উপাদান থাকলেও তা গ্রিন টিয়ে নেই। নিয়মিত গ্রিন টি পানের ফলে ক্ষতির আশঙ্কাও খুবই কম। তুলনামূলক গ্রিন টিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণও বেশি।