প্রায় ৫ বছর পর সেঞ্চুরির সুযোগ পেলো মাহমুদউল্লাহ, লজ্জার রেকর্ড থেকে বাঁচলো বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যেন একাই লড়লেন। ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দলের হাল ধরেন তিনি। এরপর দলকে পরাজয়ের লজ্জার রেকর্ড থেকে রক্ষা করেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত শতকের পরও ১৪৯ রানের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
৮১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে নাসুম এবং পরবর্তীতে হাসান মাহমুদকে সঙ্গী করে একাই লড়ে যান রিয়াদ। দলকে রক্ষা করেন লজ্জার সেই রেকর্ড থেকে। শেষ পর্যন্ত রিয়াদের ১১১ রানে ভর করে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় সাকিবের দল।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। প্রথম উইকেটের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে হেনড্রিকসকে পরাস্ত করেন শরিফুল।
দ্বিতীয় উইকেট পেতেও খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি টাইগারদের। অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন আরেক মারকুটে প্রোটিয়া ব্যাটার ফন ডার ডুসেন। মিরাজের স্ট্রেইট বল মিস করেন তিনি। ৩৬ রানে নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
এরপরই ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন কুইন্টন ডি কক আর এইডেন মার্করাম। দারুণ ব্যাটিং করে গড়েন শতরানের জুটি। ১৩১ রানের বড় জুটিটি ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব। ৬৯ বলে ৬০ রান করে আউট হন মার্করাম। তবে ডি কককে আটকানো যায়নি। এবারের বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের পঞ্চম ম্যাচে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
টাইগার বোলারদের তুলোধুনা করে ডি কক খেলেছেন ১৪০ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস। ১৫ বাউন্ডারি আর ৭ ছক্কায় সাজানো তার বিধ্বংসী ইনিংসটি। ডি ককের বিদায়ের পর ঝড় তুলেন ক্লাসেন। চারের চেয়ে ছক্কা হাঁকানোতেই যেন আগ্রহ বেশি ছিল প্রোটিয়া এই ব্যাটারের। ৪৯ বলে ৯০ রানের ইনিংসে ২টি চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা হাঁকান ক্লাসেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ৬ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম আর সাকিব আল হাসান।