ক্রিকেটখেলাধুলা

আজ ভাগ্যবদলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান

বিশ্বকাপ চলার মাঝেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে গৃহদাহ। টানা পাঁচ হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল স্বপ্ন ভেঙে গেছে। পাকিস্তানও ছয় ম্যাচের চারটিতে হেরে বিদায়ের শঙ্কায়। দুই দল সম্মিলিতভাবে তাদের সর্বশেষ নয় ম্যাচ হেরেছে! এতে উভয় দেশের ক্রিকেটার ও বোর্ড কর্মকর্তারা এখন সমর্থকদের তোপের মুখে। বাংলাদেশের বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করা হচ্ছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও বোর্ডপ্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে। এদিকে, অধিনায়ক বাবর আজমের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ফাঁস করে দিয়ে ভীষণভাবে সমালোচিত হচ্ছেন পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ। এমন টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই আজ বিশ্বকাপে মুখোমুখি এ দুই দেশ। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসের ২২ গজে লড়বে দুই চেনা প্রতিপক্ষ। ম্যাচ শুরু হবে বেলা আড়াইটায়।

আফগানিস্তানকে হারিয়ে শুভসূচনা করা বাংলাদেশ এরপর টানা হেরেছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের কাছে। সর্বশেষ গত শনিবার ইডেনে ডাচদের কাছে সাকিবদের ৮৭ রানের হারে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। 

‘ইগো ফাইট’ নিয়ে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপের দলে না রাখার অভিযোগ ওঠে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপের আগে যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। যদিও সেই ঝড় থামানোর মতো কোনো পারফরম্যান্স ২২ গজে দেখাতে পারেননি সাকিব ও তার সহযোদ্ধারা। ফলে নতুন করে সেই বিতর্ক উঠে পড়ে।  

নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর অধিনায়ক সাকিবকে দুয়োও শুনতে হয় নিজ দেশের সমর্থকদের কাছ থেকে। নজিরবিহীন এই ঘটনাই বলে দেয়, বাংলাদেশের শোচনীয় ব্যর্থতায় ক্রিকেট অনুরাগীরা কতটা ব্যথিত। এমন পরিস্থিতিতে ডাচদের কাছে হারের পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার কারণ বোঝার চেষ্টা করেছেন বোর্ডপ্রধান পাপনসহ অন্য কর্মকর্তারা। পরে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, দুঃসময়ে ক্রিকেটারদের পাশে আছেন তারা।

বোর্ডপ্রধানের এই কথায় ও সান্ত্বনাবাণীতে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত ক্রিকেটাররা কতটা অনুপ্রাণিত হন, উদ্দীপ্ত হন সেটি এখন দেখার অপেক্ষা। অধিনায়ক সাকিব অবশ্য বলেছেন, সেমিফাইনালের আশা না থাকলেও ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি অংশগ্রহণের কথা মাথায় রেখে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোয় ভালো করতে চান তারা। যদিও কাজটা কঠিনই। সামনে তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়া। তিন দলই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলনায়ক সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাকিস্তান দলের অবস্থাও অনেকটা বাংলাদেশের মতো, টানা চার ম্যাচ হেরেছে, ব্যাডপ্যাচ যাচ্ছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি সুবিধা বা প্রেরণা হতে পারে কি না? প্রাণখোলা হাসিতে সাকিব বললেন, ‘একই কথা তো ওরাও বলতে পারে যে বাংলাদেশ টানা পাঁচটি ম্যাচে হেরেছে, এটা ওদের বাড়তি সুবিধা নাকি…।’

পাকিস্তানকে আশা দেখায় রেকর্ড। মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস তাদেরই পক্ষে। ৩৮ ম্যাচের লড়াইয়ে পাকিস্তান ৩৩টিতে ও বাংলাদেশ মাত্র পাঁচটিতে জিতে। 

যদিও বিশ্বকাপে লড়াইটা সমানে সমান। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে চমক দেখায় বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘ বিরতি দিয়ে গত আসরে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ। ইমাম-উল-হকের সেঞ্চুরি ও বাবর আজমের ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৯৪ রানের জয় পায় পাকিস্তান।  

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button