খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতিসংঘ থেকে চিঠি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে জরুরি চিকিৎসার জন্য সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।
গত বুধবার (১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
বুধবার (৮ নভেম্বর) ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ চিঠি পাঠান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার। চিঠিতে তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দেওয়ার বিষয়টি ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও দ্বন্দ্ব নিরসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হবে।’
এএফপি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের পাঠানো এ চিঠিটি দেখেছে তারা। এতে তিনি লিখেছেন, আমি তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আপনার (শেখ হাসিনা) সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই; যাতে তিনি দেশের বাইরে জরুরি ও বিশেষ চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন।’
এএফপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশি চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিদেশে উন্নত চিকিৎসা না পেলে যে কোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারেন।
এছাড়া ৭৮ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ২০২০ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এএফপি আরও বলেছে, খালেদা জিয়া বর্তমানে লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস এবং হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন চিকিৎসক বাংলাদেশে এসে তার একটি ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করেন। তবে তার পরিবার চাইছে জার্মানিতে নিয়ে তার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে। কিন্তু সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
বার্তাসংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি নিয়মিত আন্দোলন করছে। এই মুহূর্তে যদি খালেদা জিয়ার মৃত্যু হয় তাহলে দেশে বড় ধরনের আন্দোলন বা বিক্ষোভ দেখা যেতে পারে।