ধুনট উপজেলা

ধুনটে চালকদের কাছে জিম্মি যাত্রীরা

ধুনট (বগুড়া) সংবাদদাতা: চলছে বিএনপি ও জামাতের দফায় দফায় হরতাল অবরোধ কর্মসুচী। এই সুযোগে বগুড়ার ধুনটে ভাড়া নৈরাজ্য করে যাত্রীদের পকেট ফাঁকা করে যাচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। যার মধ্যে প্রথম সারির যানবাহন হিসেবে সিএনজিতে চলছে নৈরাজ্যের মহোৎসব। আগের তুলনায় যাত্রীদের থেকে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ঢের বেশি। দেখার কেউ নেই বলে বেড়েই চলছে নৈরাজ্যের দৌরাত্ম্য।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন স্ট্যান্ডে সরজমিনে দেখা যায়, আগে ধুনট হতে বগুড়ার ভাড়া ছিলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বর্তমানে হরতাল অবরোধকে পুজি করে সেটা বাড়িয়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সোনাহাটা বাজার হতে বগুড়ায় ভাড়া ছিল ৫০ টাকা, এখন সেটা বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গোসাইবাড়ি হতে বগুড়ার ভাড়া ছিল ৯০ টাকা বর্তমানে হয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, ধুনট হতে শেরপুরে আগের ভাড়া ছিল ৪০ টাকা, সেটা প্রায় দ্বিগুণ করে বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকা নিচ্ছে চালকগণ।

ধুনট স্ট্যান্ডে গিয়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় রাবেয়া নামে এক স্কুল শিক্ষিকার। তিনি বলেন, আমি একজন নারী, দেশে হরতাল অবরোধ চলছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারনে কর্মের তাগিদে প্রতিদিন ধুনট হতে সিএনজিতেই বাধ্য হয়ে বগুড়ায় যেতে হয়। আমি আগেও বিশেষ কারনে মাঝে মধ্যে সিএনজিতে বগুড়ায় যাতায়াত করতাম। তখন ভাড়া দিতে হতো ৭০ টাকা কিন্তু এখন ১০০ টাকার নিচে গাড়িতেই উঠতে দেয় না। তাদের কথা গেলে যান, না গেলে বাসে যান। ভাড়া কম হবে না।

শহিদুল ইসলাম নামের এক চাকুরীজিবী বলেন, প্রতিদিন সকালে ধুনট হতে বগুড়ায় কাজে যেতে হয়। আমি ছোট একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। আমার সামান্য আয়ে চলে আমার ৪ সদস্যের পরিবার। আমি যা বেতন পাই তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলে। কিন্তু বর্তমানে অবরোধের কারণে সিএনজি ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় আগামী মাসে কিভাবে সংসার চালাবে তা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।

হাসেম রেজা নামের এক সিএনজি চালক জানান, অবরোধের কারনে যাত্রী খুব একটা হয় না। যেখানে বগুড়া ৪ বার যেতাম সেখানে ১ থেকে ২ বার যেতে হয়। ভাড়া একটু বেশি না নিলে আমাদের পরিবার গুলো সমস্যায় পড়বে। মাথার উপর কিস্তির দেনা রয়েছে। কিছু করার নেই সবই পরিস্থিতির শিকার।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button