সারিয়াকান্দি উপজেলা

সারিয়াকান্দিতে “কুমড়া বড়ি” তৈরিতে ব্যস্ত নারীরা

সুমন কুমার সাহা, সারিয়াকান্দি প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে কুমড়া বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পৌর এলাকার সাহাপাড়ার নারীরা। বংশ পরম্পরায় বছরের পর বছর ধরে কুমড়া বড়ি এ অঞ্চলে তৈরি হয়ে আসছে।

নারীরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমড়া বড়ি তৈরির কাজ করে। প্রতিদিন এক জন নারী গড়ে ৪ থেকে ৭ কেজি কুমড়া বড়ি তৈরি করতে পারেন।

কুমড়া বড়ির কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ এলাকায় শীত মৌসুমে প্রায় ১২ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার কুমড়া বড়ি বেচা-কেনা হয়। এই কুমড়াবড়ি তৈরি করে পরিবারের নারী সদস্যরা, আর পুরুষরা হাঁট-বাজারে বিক্রি করে । পূর্বের ন্যায় এবারও আগাম অক্টোবর মাস থেকে বড়ি তৈরি শুরু হয়েছে। চলবে মার্চ মাস পর্যন্ত।

কুমড়া বড়ি তৈরির একমাত্র প্রধান উপাদান হলো মাসকলাই ডাল। হাটবাজার থেকে এসব কালাই সংগ্রহের পাশাপাশি চাষ করা কলাই দিয়ে দিনভর চলে কুমড়া বড়ি বানানোর কাজ।

পৌরসভার সাহাপাড়া গ্রামের শংককুড়ি রানী, মুনজুরী ও গীতা রানী, নিহার রানী সাহা, শ্যামলী দেবনাথের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে কলাইয়ের দাম বেশি হওয়ায় বড়ি তৈরি করে বিক্রির পর এখন আর আগের মতো তেমন একটা লাভ হয় না। এ ছাড়া হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয় কুমড়া বড়ি তৈরি করতে। দিনে একেক জন ৪ থেকে ৭ কেজি মাসকলাইয়ের কুমড়া বড়ি তৈরি করেন। তৈরি করার পর তা শুকিয়ে বিক্রি করা হয়। মানের ভেদে ৩০০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। একেকজন কারিগর দিনে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত কুমড়াবড়ি বিক্রি করে থাকেন।

তারা জানান, ৫ মাস চলে এই কুমড়াবড়ি তৈরি ও বিক্রির কাজ। তাতে ৫ মাসে কম করে হলেও এ পাড়ায় ১১ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার কুমড়াবড়ি বিক্রি হয়। অনেকেই দেশ-বিদেশে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে থাকেন হাতে তৈরি এ বড়ি। আবহাওয়া ভালো না হলে কুমড়াবড়ি তৈরিতে ধস নামে। তখন বড়ি প্রস্তুত করতে অনেক সময় লাগে। কেনাবেচা কম হয়, বড়ি নষ্ট হয়ে যায়।

তারা আরও জানান, সরকারি সহজসর্থে ঋণ পেলে আমরা আরও বেশি কুমড়া বড়ি তৈরি করতে পারবো এবং আরও বেশি উন্নতমানের কুমড়া বড়ি তৈরি করতে পারবো।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button