
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়েছে ভারত। ৩৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩২৭ রানে থামে কিউইদের ইনিংস। ফলে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে ভারত।
৩৯৮ রান তাড়ায় ৩৯ রানে ২ উইকেট হারিয় বসেছিল কিউইরা। সেখান থেকে হাল ধরেছেন কেন উইলিয়ামসন আর ড্যারেল মিচেল। এরপর ১৮১ রানের জুটি গড়ে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে তারা। কিন্তু মিচেলের সেঞ্চুরির পর দলীয় ২২০ রানে ৩৩ তম ওভারে উইলিয়ামসনকে ব্যক্তিগত ৬৯ রানের আউট করেন মোহাম্মদ শামি। এপরর ব্যাটিংয়ে এসে ওই ওভারেই ফিরে যান টম ল্যাথাম। এরপর ৭৫ মিচেলের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৪১ রানে ফিরে যান গ্লেন ফিলিপস। মার্ক চ্যাপম্যান ২ রানে ফিরে যাওয়ার পর ব্যক্তিগত ১৩৪ রানে ফিরে যান প্রতিবন্ধক তৈরি করা মিচেল। তখন ভারতের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। মোহাম্মদ শামির ৭ উইকেটে ৩২৭ রানে থেমে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
এর আগে, মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পিচ বিতর্ক ছাপিয়ে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ব্যাট করতে নেমেই কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল।
২৯ বলে ৪৭ রান করে টিম সাউদির বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে চারটি ছক্কায় রোহিত শর্মা ভাঙেন ক্রিস গেইলের দুটি রেকর্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপে গেইলের করা সর্বোচ্চ ৪৯ ছক্কা এবং বিশ্বকাপের এক আসরে গেইলের ২৬টি ছক্কার রেকর্ড নিজের করে নেন রোহিত।
আরেক ওপেনার শুভমান গিল ফিফটি পূর্ণ করে পায়ে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে বিরাট কোহলি ভেঙেছেন একগাদা রেকর্ড। বিরাট পেছনে ফেলেছেন ওয়ানডেতে এতদিন তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭০৪ রানের মালিক রিকি পন্টিংকে।
পঞ্চাশ ছোঁয়া ৮টি ইনিংস খেলে পেছনে ফেলেছেন ২০০৩ বিশ্বকাপে শচীন টেন্ডুলকার ও ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের ৭টি অর্ধশতক ছোঁয়া ইনিংসের রেকর্ডকে। এছাড়া এক বিশ্বকাপে শচীনের করা (২০০৩ সাল) সর্বোচ্চ ৬৭৩ রানকে টপকে গেছেন সাতশ’র বেশি রান করে।
১০৬ বলে ১০০ রান পূর্ণ করে ছাড়িয়ে গেছেন শচীনের করা ওয়ানডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৯টি সেঞ্চুরির রেকর্ড। বিরাট শেষ পর্যন্ত ১১৩ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৭ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন সাজঘরে।
বিরাট ফিরলেও ৬৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শ্রেয়াশ আইয়ার। আজ খেলেন ৭০ বলে ৪টি চার ও ৮ ছক্কায় ১০৫ রানের ইনিংস। লোকেশ রাহুলের ব্যাটে আসে অপরাজিত ৩৯ রান। সুরিয়াকুমার যাদব ১ রান ফিরলে আবারও ব্যাট করতে নামেন শুভমান গিল। তিনি ৬৬ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
কিউইদের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন টিম সাউদি, ১টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট।